ঢাকাবুধবার , ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

প্রতারনা করে প্রবাসির অর্থ আত্বসাধ এর অভিযোগ।

Siam Hossen
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪ ৫:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতারনা করে অর্থ আত্বসাধ এর অভিযোগ পাওগেছে কুয়েত প্রবাসি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া “র রফিকুল ইসলাম পিতা মৃত আব্দুল রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম কুয়েতে আল- কুয়েত কোম্পানির কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্নসময় (৭৭৬৬ কুয়েতি দিনার) যাহা বাংলাদেশি টাকার ২১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। এবং বাংলাদেশে ব্যাংক ঋণ বাবৎ ৪,৯৯,৬৫১ টাকা সহ মোট ২৬,২৭,৬৫১ টাকা। এছারাও বিভিন্ন সময়ে কুয়েতি দিনার (২২,০৫৪) যাহা বাংলাদেশি টাকায় ৮৭,৭৭,৪৯২ টাকা, ঢাকা খিলগাঁ এর বাসিন্দা মোহাম্মদ আকরাম উদ্দিন পিতা মোহাম্মদ ইমাম উদ্দিন এর কাছ থেকে গ্রহন করে। কুয়েত প্রবাসি প্রতারক রফিকুল ইসলাম ২০ অক্টোবর২০১৩ সালের মধ্যে ধার কৃত টাকা ফেরত দিবেন বলে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত অঙ্গীকার করেন। তারপরেও দীর্ঘ প্রায় দশ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর উক্ত টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন অজুহাতে তাল বাহানা করতে থাকে। আকরাম উদ্দিনের পাওনা কৃত টাকার বিপরিতে বেস কয়েক টি চেক প্রদান করেন ধুরন্দর রফিকুল। কুয়েতের আহালী ব্যাংক অব কুয়েত চেক নং ২০- দিনার ৯৭৬২, চেকনং ২১-৯৪৮১ দিনার ধার নেয়, এছারাও ব্রাক ব্যাংক এর একাধীক চেক চেক দিয়ে প্রতারনা করে। টাকা নেওয়ার সময় অঙ্গিকার নামায় রফিকুলে স্ত্রী হামিদা বেগম ১ নং সাক্ষি হিসেবে সাক্ষর করেন। এছারাও কুষ্টিয়ার এনামুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া” র আব্দুল বাসির লিখিত স্ট্যাম্পে সাক্ষী রয়েছে। প্রতারক রফিকুল ইসলাম এর কুয়েতে সিভিল আইডি নং-২৬৮০১২৮০১৯৪৫। দীর্ঘদিন টাকা পরিশোধ না করার কারণে বিগত ১৪-০১-২০২৪ ইং তারিখ নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্ট এর অ্যাডভোকেট মাজেদা খাতুন স্বাক্ষরিত লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশে ২৭-০১-২০২৪ ইং তারিখের মধ্যে সমুদয় অর্থ আকরাম উদ্দিনের প্রতিনিধির নিকট পরিশোধ করতে বলাহয়। নোটিশ প্রদানের ১৫ দিনের মধ্যে লিখিত আকারে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য রফিকুল ইসলাম কে জানানো হলেও প্রতারক রফিকুল ইসলাম কোন ধরনের উত্তর প্রদান করেন নি। একাধীক সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম এর কাজই হলো প্রতারনা। তিনি কুয়েতে বিভিন্ন বাংলাদেশীদের থেকে সখ্যাতা গড়ে তুলে প্রতারণা করে টাকা আত্বসাধ করে। এভাবেই তার দেশের বাড়ি এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তুলেছেন পাহাড় পরিমাণ সম্পদ। মূলত ঐ সমস্ত সম্পদ প্রতারনার টাকায়। একই জায়গায় চাকরি করার সুবাদে বিভিন্ন অজুহাতে প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে থাকেন তিনি। বিপরীত স্ট্যাম্প সহ বিভিন্ন ব্যাংকের ব্ল্যাংক চেক এবং লিখিত চেক হস্তান্তর করে থাকে। প্রতারণার সাথে লিখিত স্ট্যাম্পে সাক্ষী হিসেবে তার স্ত্রীকে ব্যবহার কারার কারনে প্রবাসীরা সহজেই তাকে বিশ্বাস করে। ওই প্রতারণার সহযোগী তার স্ত্রীও বিষয়টি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ইমিগ্রেশন পুলিশের সহযোগিতায় এই প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা বলছেন তাদের কষ্টর্জিত অর্থ যেন আত্মসাৎ করে প্রতারক পার না পায়।