ঢাকাবুধবার , ২৩ আগস্ট ২০২৩

২০০৫ সালের ১৭ ই আগস্ট সারা দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে…

Siam Hossen
আগস্ট ২৩, ২০২৩ ৮:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

আমতলী (উপজেলা) প্রতিনিধি:

দু’হাজার পাঁচ সালের ১৭ই অগাস্ট বাংলাদেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা হয়েছিল। ওই হামলায় দুই জন নিহত আর বহু মানুষ আহত হন।

একযোগে হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশে নিজেদের সংঘবদ্ধ উপস্থিতির ঘোষণা করেছিল জঙ্গিরা। সেদিন নিজেদের একটি প্রচারপত্র বা লিফলেটও ছড়িয়ে দিয়েছিল তারা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরবর্তীতে জানায়, জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামের একটি জঙ্গি গোষ্ঠী ওই হামলা করে।

কিন্তু কীভাবে একযোগে দেশজুড়ে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল এই জঙ্গি সংগঠনটি? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাই বা তখন কেমন ছিল?

নিজেদের উপস্থিতির ঘোষণা
পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্লেষক ও জঙ্গিবাদ পর্যবেক্ষণ করেন, এমন ব্যক্তিরা বলছেন, ২০০৫ সালের আগে থেকেই জঙ্গিরা নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছিল। কিন্তু সেসব বিষয় ততোটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়নি। জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও কঠোর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ”২০০৫ সালের ১৭ই অগাস্ট যখন ৬৩ জেলায় বম্বব্লাস্ট হলো, তখন জঙ্গিরা ছিল খুবই সুসংগঠিত। কারণ এই ধরণের হামলার ইতিহাস পৃথিবীতে নাই যে, একসঙ্গে একটা দেশের এতগুলো জায়গাতে সমন্বিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটে। তারা চেয়েছিল, নো ক্যাজুয়ালটির মাধ্যমে নিজেদের জানান দেবে। এতো পরিকল্পিত সমন্বিত হামলার ইতিহাস পৃথিবীতে নাই।”

”আমরা দেখেছি, একটা দেশের অধিকাংশ জায়গায়, ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬৩টি জেলায় হামলা করার মতো তাদের সাংগঠনিক কাঠামো, সক্ষমতা, গোপন রাখার প্রক্রিয়া – সেগুলো তাদের ছিল।”