ঢাকাবুধবার , ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে, কুপিয়ে আহত করেন রাজিয়া সুলতানাকে

রবিউল ইসলাম জামালপুর প্রতিনিধি।
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩ ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

 

রবিউল ইসলাম জামালপুর প্রতিনিধি।

জামালপুরের মেলান্দহে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সুলতানা রাজিয়া (৫০) নামে এক নারীকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।সোমবার সকাল ৯ টায় উপজেলার ফুলকোচা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ভুক্তভোগীর মেয়ে (৩৫) বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার সুরুজের ছেলে তারা মিয়া ( ৩৮ ), মৃত জালালের ছেলে মোঃ কাদের ( ৫০ ),মৃত আজিজুলের ছেলে সুরুজ (৬০) ও আঃ কাদেরের স্ত্রী মোছাঃ লাইলী বেগম ( ৪৮ )।
অভিযোগের বাদী জানান- অসমীগন দাঙ্গাবাজ , কলহপ্রিয় অন্যায় অনিষ্টকারী ও খুনি প্রকৃতির লোক। আসামীদের সাথে জমাজমি নিয় আমাদের পূর্ব থেকে ঝগড়া বিবাদ চলছিলো । সেই শত্রুতার জের ধরিয়া আসামীগন আমাকে ও আমার লোকজনকে মারপিট করার জন্য পূর্ব থেকে পায়তারা করিয়া আসিতেছে। সোমবার সকাল ৯ ঘটিকার সময় অভিযুক্তরা দেশীয় ধারালো দা , লাঠি ও লোহার রড নিয়া আমার মার বসত বাড়ীতে হামলা চলায় । ঐ সময় আমি ও আমার মা সুলতানা রাজিয়া আসমীগনকে বাধা দিলে অভিযুক্ত মোঃ সুরুজ হুকুম দেয় যে , ওদেরকে জীবনে শেষ করিয়া ফেল । হুকুম পাওয়া মাত্রই অন্যান্য অভিযুক্তগন আমাকে ও আমার মাকে এলোপাথারি ভাবে চর , থাপ্পর , কিল , ঘুমি মারিয়া ও লাঠি দ্বারা বাইরাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে । অভিযুক্ত মোঃ তারা মিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দা দিয়া আমার মায়ের মাথায় কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে । জখম অবস্থায় আমার মা মাটিতে পড়িয়া গেলে মোঃ সুরুজ হত্যার উদ্দেশ্যে তার দুই হাত দিয়া আমার মায়ের শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করে। অভিযুক্ত মোঃ তারামিয়া আমার পড়নে থাকা কাপড় চোপড় ধরে টানা হেচড়া করিয়া বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করে। মোছাঃ লাইলী ‘ বেগম আমার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে নেয় ৷ আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে আসামীগন আমাদেরকে ভয়ভীতি সহ প্রান নাশের হুমকি প্রদর্শন করে চলে যায় । জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে মাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানার জন্য বাড়িতে গেলে তাদের লোকজন জানায় আমাদেরও দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।