
“”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
শারমিন নওগাঁ সদর হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ক্লিনিকে কাজ করতো। গত ২১/০৮/২২ ইং তারিখ রাত্রি অনুমান ৮ ঘটিকার সময় শারমিন নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে শারমিনের পিতা অনেক খোঁজাখুঁজি করে শারমিনকে কোথাও না পেয়ে গত ২২/০৯/২২ ইং তারিখ নওগাঁ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলাতে শারমিনের সহকর্মী রহিদুল, ফারুক এবং রশিদের আসামি করা হয়। ঘটনার পর থেকেই রহিদুল পলাতক ছিল। তদন্তকারী অফিসার প্রথম থেকেই মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছিল। প্রযুক্তির সহায়তায় মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা প্রাথমিকভাবে জানতে পারে যে বিবাদী রহিদুল ও ভিকটিম ঢাকায় অবস্থান করছেন। এমতাবস্থায় মামলা তদন্তাধীন থাকাকালীন সময়ে ঢাকা মোহাম্মদপুর থানায় একজন অজ্ঞাত নামা আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী মহিলার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। উক্ত লাশের একহাত কাটা ছিল। প্রাপ্ত অর্ধগলিত লাশের পরিহিত কাপড়চোপড় দেখে শারমিনের পিতা বর্ণিত লাশ তার মেয়ে শারমিনের বলে শনাক্ত করে। কিন্তু বিপত্তি বাধে লাশের কাটা হাত নিয়ে। উক্ত লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় প্রাপ্ত অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশের কাটা হাতটি অনেক পূর্বের স্বাভাবিক সার্জারির মাধ্যমে কাটা ছিল।। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং ভিকটিম শারমিনের পিতার লাশ সনাক্ত করণের বিষয় নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার সন্দেহ হয়।।তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাপ্ত লাশের ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এমতাবস্থায় শারমিনের পিতা মাননীয় পুলিশ সুপার, নওগাঁ জনাব মুহাম্মদ রশিদুল হক স্যারের নিকট উপস্থিত হয়ে তার দায়ের করা মামলার অগ্রগতির বিষয়ে সহযোগিতা প্রার্থনা করেন। মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ মোঃ রশিদুল হক বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় গুরুত্বের সহিত নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার আইসিটি বিভাগকে মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা গোয়েন্দা শাখার আইসিটি বিভাগ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সহিত সমন্বয় করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপারেশন জনাব মোহাম্মদ গাজীউর রহমান স্যারের তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্তকাজ পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার আইসিটি বিভাগ জানতে পারেন যে ভিকটিম শারমিন বেঁচে আছে। প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম শারমিনের এবং আসামি রহিদুলের অবস্থান শনাক্ত করে। এমতাবস্থায় মাননীয় পুলিশ সুপার নওগা জনাব মুহাম্মদ রশিদুল হক স্যারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপারেশন জনাব মোহাম্মদ গাজিউর রহমান স্যারের তত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখা, নওগাঁ এবং নওগাঁ সদর থানার সমন্বয়ে গঠিত চৌকস একটি টিম ঢাকা গাজিপুর ও সাভার এলাকায় ২৪ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম শারমিন কে গ্রেফতার করে এবং আসামি রহিদুল কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদলতে প্রেরন করা হবে এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিম কে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে বৈধ অভিভাবকের নিকট ফেরত প্রদান করা হবে। মাননীয় পুলিশ সুপার স্যারের মহানুভবতায় তার চৌকস নের্তৃত্বে এক অসহায় পিতা ফিরে পেল তার আদরের কন্যাকে। উল্লেখ্য যে ভিকটিমের ছদ্মনাম ব্যাবহার করা হয়েছে।
উজ্জ্বল কুমার সরকার ফোনঃ০১৭২৬-৩৭৬২৮২ তারিখ ২১/২/২৩
নওগাঁ।