
উপজেলা (পুঠিয়া) প্রতিনিধি মোঃ মিজানুর রহমান (কালু)
রাজশাহীর পুঠিয়ায় ছিনতাইয়ের মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে পাওয়া গেল তার কাজ হেরোইন। পুঠিয়া থানায় যোগদানের পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন নিজেই গ্রেফতার করেন ওই আসামীকে। থানায় যোগদানের পর প্রথম মামলাতেই এই সফলতা অর্জন করেন ওই কর্মকর্তা।
জানা যায় মোঃ রাব্বিল হোসেন ওরফে আশিক (২১) পিতা মৃত, সেলিম হোসেন, গ্রাম আলিপুর থানা সদর জেলা নাটোর। ও মোঃ শাকিল শেখ, পিতা ফারুক শেখ, গ্রাম,নতুন গাওপাড়া ঢালান, পুঠিয়ার রাজশাহী।
তারা দুজন যৌথভাবে নাটোর সদরের জালালাবাদ এলাকার নোয়াখালী পাড়ার, মোঃ করিম (৬২) এর ছেলে রেজাউল করিম (৪০) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে সরিষার জমিতে ফেলে ভ্যানগাড়ি ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
গত রোববার (৫-ফেব্রুয়ারি) সকাল এগারোটার দিকে পুঠিয়ার ম্যাচপাড়া বিলের মধ্যে একটি সরিষার জমি থেকে রেজাউলকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুঠিয়া থানার নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফারুক হোসেন বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে গতকাল শাকিল শেখ নামের একজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
আরো জানা যায়, আইনি সহায়তার পাশাপাশি কিছু নগদ অর্থ দিয়ে ইতিমধ্যেই সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ও এসপি।
আসামিদের যৌথভাবে পরিকল্পিত পরিকল্পনা করে ভুক্তভোগী ভ্যানচালক রেজাউল করিম কে ডেকে নিয়ে গিয়ে উপযোগী আঘাত করে মরে গেছে মনে করে সরিষা খেতে ফেলে আসে। পরে ওই ভ্যান গাড়ি নিয়ে চলে আসে আসামিরা। সাথে ওই ভ্যানচালকের কাছে থাকা ৬ হাজার ৫০০ টাকা ও মোবাইল ফোনও নিয়ে নেয়। পরে উপজেলার বিল মারিয়া বাজারের আলী হোসেন প্রধান এর কাছে ওই ভ্যান বিক্রি করে। এরপর থানার ওসির দক্ষতা উক্ত ভ্যান গাড়িটিও উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার ১৬৪ ধারায় আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জমানবন্দীও দিয়েছে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, ভ্যানচালক রেজাউলকে কুপিয়ে মৃত ভেবে একটি সরিষার জমিতে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এসময় তার ভ্যানটি নিয়ে গেছে। ভ্যানচালক বর্তমানে রামেক হাসপাতালে আইসিইতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।