ঢাকামঙ্গলবার , ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ভেনিস বাংলা স্কুলের একুশ উদযাপন এবং পুরস্কার বিতরণী

জাকির হোসেন সুমন
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩ ৬:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

জাকির হোসেন সুমন , ব্যাুরো চিফ ইউরোপ :

ইতালির ভেনিস বাংলা স্কুলের অনুষ্ঠান মানেই কচি-কাচাদের আসর। এবারের একুশের অনুষ্ঠানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অভিবাসী শিশু কিশোর, অভিভাবক এবং কম্যুনিটির বিশিষ্ট মানুষদের উপস্থিতিতে পবিত্র কোরান তেলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উপস্থিত সকলে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময়ে দাঁড়িয়ে দেশের প্রতি সম্মান জানান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ভেনিসের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা মেসত্রের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এম নাইন (মিউজিয়াম)হলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ছ’টায়। একুশের গান, দেশের গান, কবিতা, নৃত্য শেষে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

ভেনিস বাংলা স্কুলের জমকালো এই একুশ উৎসবে সভাপতিত্ব করেন, ভেনিস বাংলা স্কুলের সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ার। প্রধান অতিথি ছিলেন, ভেনিসের সাবেক সংসদ সদস্য নিকোলা পেল্লিকানি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্কুল কমিটির উপদেষ্টা পলাশ রহমান ও নাজমুল আলম খন্দকার রিপন। বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস মানে পৃথিবীর সব ভাষার প্রতি সম্মান জানানো’ উপপাদ্যে বক্তৃতা করেন, স্কুলের সিনিয়র সহসভাপতি এমডি আকতার উদ্দিন, সহসভাপতি নাসিরুদ্দিন পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহাম্মাদ উল্লাহ সোহেল , শাহাদৎ হোসেন, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আফাই আলি, শহিদুল ইসলাম সুজন, ফকরুল চৌধুরী,সুমন সরকার, কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, প্রমূখ।

গত ১৮ বছর যাবৎ পরিচালিত ভেনিস বাংলা স্কুলের সব অনুষ্ঠানে দলমত নির্বিশেষে কম্যুনিটির বিষিষ্ট ব্যক্তিরা যোগ দেন। নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করেন শেকড়ের সাথে জুড়ে থাকতে। বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাজি আল রোনাক, সহিদুল ইসলাম, রাসেদুল ইসলাম এবং রতন মিয়া। ভেনিস বাংলা স্কুলের সব অনুষ্ঠান একটু ব্যতিক্রম ভাবে সাজানো হয়। প্রতি অনুষ্ঠানেই কিছু না কিছু নতুনত্ব দেয়া হয়। আর এই নতুনত্ব নতুন ঢঙ্গে যারা তুলে ধরেন তারা হলেন- উপস্থাপিকা ও স্কুলের সাধারণ সম্পাদক সোহেলা আক্তার বিপ্লবী এবং স্কুলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও কন্ঠশিল্পী মোহাম্মাদ আসিক।

বাংলা স্কুলের শিশু কিশোরদের শ্রেণী মতো বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের পাঠদান, দেশের ইতিহাত, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির তালিম দেন তিনজন শিক্ষীকা- সুরাইয়া আক্তার, দিলরুবা জামান ও মেহেরুন নেছা মলি। তাদের অক্লান্ত সাধনার ফলে প্রবাসী শিশু কিশোররা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারে। দেশ চেনে, দেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে পরিচিত হয়। সুতরাং তাদের তিনজনকে বিশেষ এওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে সম্মান জানানো হয়। তিন গ্রুপে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংগীত প্রতিযোগীতায় যারা পুরস্কৃত হয়েছে তারা হলো- (প, অ, ভ ,ব)। এ ছাড়াও প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী সকলকে সান্তনা পুরস্কার দেয়া হয়। অনুস্থানের সকল (ব্যায় বহন করেন) পুরস্কার স্পন্সর করেছেন, ভেনিসের ব্যবসায়ী ও কুমিল্লা সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন। অনুষ্ঠানে একুশের কবিতা, গান এবং নৃত্য পরিবেশন করেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।