ঢাকাবুধবার , ১ মার্চ ২০২৩

নওগাঁর ভূমি অফিসে অনিয়ম দুর্নীতির আখড়য় পরিণত, দেখার কেউ নেই

উজ্জ্বল কুমার সরকার
মার্চ ১, ২০২৩ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

   
                       

উজ্জ্বল কুমার সরকার- নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দায় অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে কশব-বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস। জমির নামজারী, খাজনার চেক সহ বিভিন্ন কাজে নির্ধারিত ফি’র কয়েক গুন বেশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয় সেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে। এ সব অনিয়ম যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে এ ভূমি অফিসে। ভুক্ত ভোগীদের অভিযোগ, জমির নামজারীর আবেদন করতে গেলে কাগজ পত্রের ত্রুটি ধরে আবেদন নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন চৌধুরী। পরে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে আবার আবেদন গ্রহণ করেন। এ ছাড়া খাজনার চেক কাটতে তিনি নির্ধারিত ফি’র কয়েকগুন বেশি অর্থ হাতিয়ে নেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন অফিস সহায়ক তানসেন হোসেন। উপজেলার চকরামপুর গ্রাম এর বাসিন্দা ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘কয়লাবাড়ী মৌজায় ৮২ টাকার খাজনা চেক কেটে ৩৫০০ টাকা ও চকরামপুর মৌজার ৬৬২ টাকার আরেক টি চেক কেটে আমার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৯ হাজার টাকা। এর প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয়নি।’ একই অভিযোগ করেন কশব ভোলাগাড়ী গ্রাম এর বাবু হোসেন। তিনি বলেন, ১৭৩৮ টাকার চেক কেটে নেওয়া হয়েছে ৩৫০০ টাকা। আরও ৫০০ টাকার দাবী করেন ভূমি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন। একই ভাবে কয়লাবাড়ী মৌজার ১২ হাজার টাকার চেক কেটে অনিষ কুমার নাম এ এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। নাম প্রকাশ এ অনিচ্ছুক একজন ব্যাংক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, ‘জমির নামজারী করতে সরকারী ফি লাগে ১১৭০ টাকা। অথচ আমার কাছ থেকে কশব-বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস এর অফিস সহায়ক তানসেন হোসেন নিয়েছেন ১০ হাজার টাকা। কাজ টি জরুরী হওয়ায় প্রতিবাদ না করে অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি।’ এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে কশব-বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাক্ষাতে কথা হবে জানিয়ে সংযোগ কেটে দেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির মুন্সী বলেন, ‘বিষয় টি আমার জানা নেই, কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।