ঢাকারবিবার , ৭ মে ২০২৩

নগরকান্দায় তালিকাভুক্ত রাজাকার এখন মুক্তিযোদ্ধা

Siam Hossen
মে ৭, ২০২৩ ৩:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

ফরিদপুরের নগরকান্দায় ৭১ ঘাতক রাজাকার সাহেদ আলী ফকির তার নিজের নাম পরিবর্তন করে এখন হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সামাবুদ্দিন। নগরকান্দা উপজেলার রাজাকার তালিকায় ৩৪ নম্বরে রয়েছে তার নাম।তালিকাভুক্ত রাজাকার সাহেদ আলী ফকির কৌশলে নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে। তার মুক্তিযুদ্ধার বে সরকারী গ্যাজেট নং ২৮৭০। মুক্তিযোদ্ধা নম্বর ০১২৯০০০৪১৭৫। সাহেদ আলী ফকির উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের দফা গ্রামের মৃত হোসেন ফকিরের দ্বিতীয় পুত্র। মুক্তিযুদ্ধা তালিকায় পিতার নাম পরিবর্তন করা সহ গ্রামের নাম ও পরিবর্তন করেন।রাজাকার থেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধার কোটায় তার দুই ছেলেকে পুলিশের চাকরি পাইয়ে দেয় এই রাজাকার সাহেদ আলী ফকির। নাম পরিবর্তন করে শামাবুদ্দিন নামে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ১০ বছর ধরে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সরকারের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে।তার শশুর ও একজন নাম করা রাজাকার ছিলেন। গুলি করে হত্যা করেন যুদ্ধকালীন মুক্তিযুদ্ধারা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজাকারদের বিচারের আওতায় আনলেও কিছু অমুক্তিযোদ্বারা টাকার বিনিময় ও আত্বিয়তায় নাম লেখিয়েছেন যা গোটা বাঙালি জাতিকে এক গোলকধাঁধায় ফেলছেন।দেশের সাধারণ মানুষ আজ বিপাকে।নগরকান্দা উপজেলায় অল্পসংখ্যক মানুষ ৭১ সালে যুদ্ধকালিন সময় কিছু মানুষ মুক্তি ট্রেনিং নিয়ে ভারত থেকে দেশে এসে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন এবং কিছু মানুষ ট্রেনিংরত অবস্থায় ভারতে থাকেন।
নাম প্রকাশ না করার সার্থে এক যুদ্ধকালিন মুক্তিযোদ্ধা বলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধ করা ও ভারতে আটকে থাকা মুক্তিযুোদ্ধা সহ নগরকান্দায় তিন’শ জনের মতোন মুক্তিযোদ্ধা হবে তার বেশি না।তিনি আরো বলেন এসকল মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে টাকা নিয়ে ও আত্বীয়তার কারনে।যুদ্ধকালিন মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডাররা এসব করেছে।
বাংলাদেশ সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রধান করায় দেশের কিছু অমুক্তিযুদ্ধারা টাকার বিনিময় মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকায় নাম লিখে হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা। এই সুযোগে নগরকান্দায় রাজাকারের তালিকায় সাহেদ আলী ফকিরের নাম থাকলেও সে সামাবুদ্দিন নামে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লিখে হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্বা যাচাই বাছাই কালীন সময় উপজেলায় হাজির না হয়ে কৌশল অবলম্বন করে ঢাকায় হাইকোর্ট ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ( জামুকা) গিয়ে অর্থের বিনিময়ে তার নাম মুক্তিযোদ্বার তালিকায় বহাল রাখেন বলে মুক্তিযোদ্বারা অনেকেই বলেন। জাতির সাথে প্রতারনা করা এই রাজাকার সাহেদ অলী ফকিরকে অইনের আওতায় নিয়ে তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান নগরকান্দা উপজেলার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা।এছাড়া এসকল কাজের সাথে জড়িতদেরকেও বিচারের দাবি জানান সুশীল সমাজ। রাজাকার সাহেদ আলী ফকির ওরফে মুক্তিযোদ্বা শামাবুদ্দিন এর সাথে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে সরে পড়েন।

ছবি— রাজাকার সাহেদ আলী ফকির অরফে মুক্তিযোদ্বা শামাবুদ্দিন