ঢাকাসোমবার , ৮ মে ২০২৩

নওগাঁ ১১ টি উপজেলায় মাঠে মাঠে দোলখাচ্ছে সোনালী ধান, কৃষকের মুখে হাসি ধান কাটার মহাউৎসব

উজ্জ্বল কুমার সরকার
মে ৮, ২০২৩ ৫:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

উজ্জ্বল কুমার সরকার-নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁ ১১ টি উপজেলায় মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালী ধান কাটার মোহাউৎসব– বাতাসে দোল খাওয়া গুচ্ছ গুচ্ছ পাকা সোনালি ধানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃষকের স্বপ্ন। ১২০ দিন নিবিড় পরিচর্যার পর ধান কেটে ফসল এখন ঘরে তোলার পালা। নওগাঁর বিল এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠের প্রায় ৯০ ভাগ ধান পেকে গেছে। তাই বরেন্দ্রর মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে বোরো মৌসুমের ধানকাটা মাড়াই প্রখর রোদে উপেক্ষা করেই ধান কাটা-মাড়াইয়ে বেড়েছে কৃষকের ব্যস্ততা।—
এবার ইরি-বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই বৈরী আবহাওয়ার ধকল, তার ওপর দফায় দফায় কৃষি উপকরণের বাড়তি দাম গুনতে হয়েছে কৃষকদের। তাদের অভিযোগ, গেল ইরি মৌসুমের চেয়ে এবার চাষাবাদে বিঘাপ্রতি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। কৃষি উপকরণের বাড়তি দর আর বৈরী আবহাওয়ার ধকল থাকলেও শেষ মুহূর্তে কাঙ্ক্ষিত ফলন হওয়ায় আলো দেখছেন তারা। তবে কেটে তোলা ধান হাটে তোলার পর কাঙ্ক্ষিত দর পাবেন কি না, তা নিয়ে তৃণমূল কৃষকদের মনে বেশ সংশয় রয়েছে। মান্দা এলাকার কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন, “এবার অনেক বেশি খরচ, তাই সঠিক দাম না পেলে লাভ হবে না।” মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়ন চৌমাশিয়া সরকার পাড়া কৃষক গোপাল চন্দ্র সরকার বিদুৎ চন্দ্র সরকার নৃগোষ্ঠী আদিবাসী রবিপাহান বলেন গত বছরের বাড়পুর খোদ্দনারায়নপুর পালপাড়া ফুলবাড়ি নলবল শরিফপুর মনোহরপুর —-
এদিকে নওগাঁর হাটগুলোতে নতুন ধান ওঠা শুরু হয়েছে। কাটারি ধান বিক্রি হচ্ছে ১১৮০ থেকে ১২৬০ টাকা মণ দরে। তবে ধানের সরবরাহ বাড়লেই ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে দর কমিয়ে দেওয়ার আতঙ্কে চাষিরা। প্রতিকূল আবহাওয়া সহায়ক ধানের জাত নির্বাচন আর কৃষকদের আধুনিক কলাকৌশল প্রদান করায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।—- নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, যদিও এ মুহূর্তে আবহাওয়া খারাপ, তারপরও বিলের ধান আগাম হওয়ায় এবার ভালো ফলন হয়েছে। চাষিদের ৮৫ ভাগ ধান পেকে গেলে তা দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জেলায় চলতি মৌসুমে অন্তত ১৩ জাতের ধানের আবাদ করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়েছে উচ্চ ফলনশীল কাটারি, নাজির, জিরাশাল ও ব্রি ৪৯ জাত এবং লম্বা জিরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে, যা থেকে ১১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কৃষকের ঘরে