ঢাকাসোমবার , ১২ ডিসেম্বর ২০২২

ঝুপড়ি ঘরেই মিলিয়ে যায় মজিরনের কান্না

রবিউল ইসলাম মেলান্দহ জামালপুর প্রতিনিধি।
ডিসেম্বর ১২, ২০২২ ৩:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

   
                       

 

রবিউল ইসলাম মেলান্দহ জামালপুর প্রতিনিধি।

বয়সের ভারে ন্যুব্জ বিধবা মজিরন বেওয়া থাকার উপযোগী ঘর নেই, আয়ের কোনো উৎস নেই।ভূমিহীনদের ঘর উপহার দিয়েছে সরকার। ভেবেছিলাম আমিও পাবো। কিন্তু আজ পর্যন্ত পেলাম না। ঝুপড়ি ঘরেই থাকতে হচ্ছে। কথাগুলো বলেছেন জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের হরিনাপাই গ্রামের মৃত আছর আলীর স্ত্রী মজিরন বেগম। তিনি স্বামী মারা যাওয়ার ৩০ বছর ধরে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন। ৩ কন্যা সন্তান নিয়ে, তিন কন্যা সন্তান বিয়ে দিলেও এক মেয়ের জামাই মারা যান ,দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত বিধবা এক মেয়ে ও ২ শিশু নাতনি নিয়ে বসবাস করছেন।

ওষুধ কেনার টাকা নেই। অসুস্থ হলে সেবা তো দূরের কথা, মুখে এক ফোঁটা পানি তুলে দেওয়ার মতো পাশে কোনো আপনজনও নেই। মজিরন পলিথিন ও ভাঙা টিনের ঝুপড়ি ঘরে সারাক্ষণ চাতক পাখির মতো বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকেন, কেউ হয়তো এক মুঠো খাবার নিয়ে আসবে সেই অপেক্ষায়। অথচ তিনি সরকারের কাছ থেকে কোনো ঘর পাননি।

জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের হরিনাপাই গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মজিরন ঝুপড়ি ঘর। ওই ঘরে ১ বিধবা মেয়ে ও ২ শিশু নাতনি নিয়ে বসবাস করেন তিনি।