ঢাকামঙ্গলবার , ১৬ মে ২০২৩

মিয়ানমারের উপকূলে ৩ দশমিক ৬ মিটার (১২ ফুট) গভীর পানিতে আটকে থাকা প্রায় ১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গেছে।

অনলাইন ডেস্ক
মে ১৬, ২০২৩ ৩:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

সোমবার উদ্ধারকারীরা পশ্চিম মিয়ানমারের উপকূলে ৩ দশমিক ৬ মিটার (১২ ফুট) গভীর পানিতে আটকে থাকা প্রায় ১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গেছে। শক্তিশালী এক ঘূর্ণিঝড়ে কয়েকশো মানুষ আহত এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে তারা তাদেরকে সরিয়ে নিয়ে যায়।

৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রকৃত প্রভাব এশিয়ার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর একটি মিয়ানমারে এখনো স্পষ্ট হয়নি।

 

সিটওয়েতে রাখাইন যুব সমাজের একজন নেতার মতে, প্রবল বাতাসে সিটওয়ে শহরের উচ্চভূমিতে মঠ, প্যাগোডা এবং স্কুলের মতো শক্ত ভবনে আশ্রয় নেয়া প্রায় ২০ হাজার মানুষের মধ্যে ৭০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। সেনাশাসিত দেশটির কর্তৃপক্ষের প্রতিশোধের ভয়ে তিনি নাম প্রকাশ না করতে বলেছেন।

 

তিনি বলেন, রবিবার বিকেলে ঘুর্ণিঝড় মোখা রাখাইন রাজ্যে আঘাত হানার ফলে সমুদ্রের পানি উপকূলের কাছাকাছি ১০টির বেশি নিচু ওয়ার্ডে প্রবেশ করেছে। বাতাস আর ঝড় তাৎক্ষণিক উদ্ধার বাধাগ্রস্ত করে। বাসিন্দারা তখন ছাদে এবং উঁচু মেঝেতে আশ্রয় নেয়।

 

মিয়ানমারের গণমাধ্যম এবং উদ্ধারকারী দলগুলো ৬ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশে বেশ কয়েকজনের আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ সরাসরি আঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

 

মিয়ানমারের সামরিক তথ্য কার্যালয় জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে সিটওয়ে, কিয়াউকপিউ এবং গয়া শহরে বাড়িঘর এবং বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৪২৫ কিলোমিটার (২৬৪ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে কোকো দ্বীপপুঞ্জে ভবনের ছাদ ধসে গেছে।

 

বাংলাদেশে জাতিসংঘের সংস্থা এবং সহায়তা কর্মীরা শরণার্থী শিবিরে প্রচুর শুকনো খাবার এবং কয়েক ডজন অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছিল। বাংলাদেশে মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম রয়েছে।