ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৮ মে ২০২৩

্মিয়ানমার কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র ও অস্ত্র-সামগ্রী আমদানি করেছে।

অনলাইন ডেস্ক
মে ১৮, ২০২৩ ৮:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!
                       

মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের প্রধান রেপোটিয়ার বুধবার জানিয়েছেন , গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারকে ২০২১ সালে উৎখাতের পর থেকে মিয়ানমার  কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র ও অস্ত্র-সামগ্রী আমদানি করেছে

টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, “রাশিয়া ও চীন হচ্ছে উন্নত ধরণের অস্ত্র সরবরাহের প্রধান উৎস এবং তারা অভূত্থানের পর থেকে যথাক্রমে ৪০ কোটি ও ২৬ কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করেছে এবং অধিকাংশ বানিজ্যই হয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে।

 

জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সংবাদদাতাদের বলেন রাশিয়ার সরবরাহকারীরা যে অস্ত্র দিয়েছ তা মিয়ানমারে সম্ভবত যুদ্ধ অপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

 

তিনি বলেন, “ এই সব অস্ত্র এবং আরও অস্ত্র তৈরি করার সামগ্রীগুলো অব্যাহত ভাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছে আসা অব্যাহত রয়েছে যদিও তাদের তরফ থেকে নির্মম অপরাধ চালানোর প্রচুর প্রমাণ রয়েছে।

 

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী এই অভিযোগ এনে ক্ষমতা দখল করে যে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। ঐ নির্বাচনে সংসদের ৪৯৮ টি আসনের মধ্যে তাদের দলটি মাত্র ৩৩ টি আসনে জয়লাভ করেছিল।

 

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর বলছে সেই থেকে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য অন্তত ৩,০০০ অসামরিক লোককে হত্যা করা হয়েছে ,১৭,৫০০’র ও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে এবং দশ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে অন্তত এক কোটি ছিয়াত্তর লক্ষ লোকের প্রয়োজন মানবিক সহায়তা।

 

এই বিশেষ রেপোটিয়ার , “ বিলিয়ন ডলারের মরণ বানিজ্য: আন্তর্জাতিক অস্ত্র নেটওয়ার্ক যা মিয়ানমারে মানবাধিকার লংঘন করতে সাহায্য করছে” শীর্ষক তার সর্বসাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সরকারি ও ব্যক্তিগত উভয় সুত্র ব্যবহার

 

করেছেন , যার মধ্যে রয়েছে বানিজ্যিক তথ্য-উপাত্ত যা কীনা ১২,৫০০’রও বেশি বিশেষ ধরণের ক্রয়কে চিহ্নিত করেছে কিংবা একাধিক সুত্র থেকে সরাসরি মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কিংবা সামরিক বাহিনীর পক্ষে কাজ করছে এমন অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে জাহাজে চালানের ব্যাপারে তথ্য পেয়েছে।

 

যে সব নেটওয়ার্ক ও কোম্পানিকে তিনি এই অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে চিহ্নিত করেছেন সেগুলো রাশিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে কাজ করে থাকে।