ঢাকারবিবার , ২১ মে ২০২৩

ইরানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনে যোগ দিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র বাহিনীর কমান্ডাররা

অনলাইন ডেস্ক
মে ২১, ২০২৩ ১২:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের নৌবাহিনীর কমান্ডাররা শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজে করে হরমুজ প্রণালী অতিক্রম করেন। ইরান দুটি তেল ট্যাংকার জব্দ করার পর, এটি হলো গুরুত্বপূর্ণ এই জলপথ উন্মুক্ত রাখার জন্য তাদের ঐক্যবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।

বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি ভেস্তে যাবার পর, পারস্য উপসাগরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র একতরফা ভাবে চুক্তি থেকে সরে গেলে, ঐ পারমাণবিক চুক্তি ভেস্তে যায়। ইউএসএস পল হ্যামিল্টন নামের একটি আর্লেই বার্ক শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ারে তিন নৌবাহিনী প্রধানের এমন নৌযাত্রা অবিশ্বাস্য বিরল ঘটনা ।

তাদের যাত্রার এক পর্যায়ে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর তিনটি দ্রুতগতির নৌকা জাহাজটির দিকে এগিয়ে আসে।

রক্ষীরা তাদের নৌযানের ডেকে উন্মুক্ত মেশিনগানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অন্যদিকে পল হ্যামিল্টনের নাবিকরা একই ভাবে গুলিভরা মেশিনগান নিয়ে সতর্ক দাঁড়িয়ে থাকে। অন্যরা নৌযানগুলোর ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।

মিত্র বাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসে-এর একজন সাংবাদিক।

তবে, ইরানের গার্ড বাহিনীর নৌযানগুলো পল হ্যামিল্টন এবং পাশ দিয়ে যাওয়া ব্রিটিশ ফ্রিগেট এইচএমএস ল্যাঙ্কাস্টার এর কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছিলো। তবুও তাদের উপস্থিতি পারস্য উপসাগরের সংকীর্ণ মুখ হরমুজ প্রণালীতে জাহাজগুলির জন্য কতটা উত্তেজনাপূর্ণ পথ হতে পারে তা প্রমাণ করে।

এই প্রনালীর মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের এক পঞ্চমাংশ জাহাজ চলাচল করে।

গত দুই বছরে ইরান ১৫টি জাহাজ জব্দ করেছে বা এগুলোতে আক্রমণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক পঞ্চম নৌবহরের তত্ত্বাবধানকারী ভাইস অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার এপিকে এ কথা জানান। তিনি বলেন, “ নৌ পরিবহণ খাত এই অঞ্চলের নিরাপত্তা

পরিস্থিতি কেমন তা নিয়ে সচেতন। আমাদের এ বিষয়ে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করার সক্ষমতা রয়েছে এবং আমরা এখন সেটাই করছি।“

কুপার বলেন, শুক্রবার পল হ্যামিল্টনের ৯১৫ মিটারের মধ্যে ইরানের গার্ডবাহিনীর জাহাজগুলো চলে আসে। পল হ্যামিল্টন এখন সান ডিয়াগো ঘাটিঁর বাইরে রয়েছে।

 

১৯৮০ সালে পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় সামরিক শক্তি প্রয়োগের অঙ্গীকার করে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের ভাষণের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের নৌপথ, বিশেষ।

করে হরমুজ প্রণালীকে সুরক্ষিত রাখাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের দিকে মনোনিবেশ করা হলেও কার্টার মতবাদের “মধ্যপ্রাচ্যের তেলের অবাধ চলাচলের” অনুমতি দেয়ার অঙ্গীকার এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের বিরুদ্ধে দাঁড় করে দিয়েছে।