ঢাকাবুধবার , ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

নওগাঁয় ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রীর যৌন হয়রানির মামলায় প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী গ্রেফতার

দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ
ডিসেম্বর ১৪, ২০২২ ৫:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর পত্নীতলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন হয়রানি মামলায় প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেকেন্দার আলী উপজেলার হাসেন বেগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি উপজেলার হাসেন বেগপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে বর্তমান নজিপুর আলহেরা পাড়ার বাসিন্দা। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ওই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আরও কয়েকজন ছাত্রীর মায়েদের সাথে নিয়ে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীকে আসামী করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে স্কুলে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তদন্তে প্রাথমিক সত্যত্যা পাওয়ায় সেকেন্দার আলী (৪৯) কে আটক করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে আদালতে প্রেরণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০১০ এর ১০ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
স্থানীয় ও থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর বেলা অনুমান ১২ টার দিকে তার মেয়ে (৯) স্কুলের বাথরুমে যায়। মেয়ে বাথরুমে থাকাকালীন সময়ে আসামী সেকেন্দার আলী বাথরুমের দরজায় টোকা দেয়। টোকা দিলে বাথরুমের দরজা খুলে আমার মেয়ে বের হওয়া মাত্রই আসামী সেকেন্দার আলী আমার মেয়েকে বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল কথা বার্তা বলে তাঁকে ঝাপটে ধরে জোর পূর্বক শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। এবং ঘটনার বিষয়ে কাউকে কোন কিছু না বলার জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। স্কুল থেকে বাড়ীতে ফিরে কান্নাকাটি করিয়া ঘটনার বিষয়টি আমার মেয়ে আমাকে বিস্তারিত জানায়। এ বিষয়ে স্থানীয় বিদাসু তির্কী (৫০), সোহাগী তিগ্যা (৩০) সহ আরও অনেকে জানেন বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও ওই বিদ্যালয়ের আরও ৫ জন শিশু ছাত্রীদেরকেও গত ৪/৫ মাস ধরে শ্লীলতাহানী করিয়া আসিতেছে বলে উল্লেখ করেন।
এরআগে ওই বিদ্যালয়ের ১১জন অভিভাবক ছাত্রী হয়রানি ও নিপীড়নে বিষয়ে পত্নীতলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগও করেন। প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর এমন নেক্কারজনক কর্মকান্ডে বিদ্যালয়ে অন্যান্য ছাত্রীরা স্কুলে যেতে চায় না। অভিভাবকরাও রয়েছেন হতাশায়। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল,সুশীল সমাজ ও স্কুলের অভিভাবক বৃন্দ।
এ বিষয় পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তে সতত্যা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করে আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।