পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে নিখোঁজের ৭দিনেও সন্ধান মিলেনি ইট ভাটার কিশোর শ্রমিক পারাজুল ইসলামের। পারাজুল ইসলাম পীরগঞ্জে উপজেলার ১১ নং বৈরচুনা ইউনিয়নের আব্দুল আলীর বড় ছেলে। সে বাড়ির পাশে একটি এবি ইট ভাটায় নিয়মিত শ্রমিকের কাজ করতেন। গত এক সপ্তাহ ধরে হটাৎ সে নিখোঁজ হওয়ায় তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পারাজুল ইসলাম একজন হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় সে দীর্ঘদিন ধরে দিন মজুরের কাজ করেন এবি ব্রিকস নামে তার বাড়ির পাশে
একটি ইট ভাটায়। কখনো ইট ভাটায় কাজ করেন কখনো আবার কাজ করেন সেই ইট ভাটার মালিকের ইট বহন কারি ট্রেক্টরে। কিন্তু সেই ইট ভাটার ম্যানেজারের নির্দেশে গত ১৬ জুলাই রবিবার ভাটার দুপুরে খড়ি বহন করার উদ্দেশ্যে ড্রাইভার কামরুজ্জামান কামু ও সাইদুর রহমান সহ পারাজুল ইসলাম একটি ট্রেক্টর নিয়ে একই উপজেলার কালপির ও দেবিতলিতে রওনা হয় কাজের উদ্দেশ্যে সেখান থেকে গাড়ির ড্রাইভাররা তাকে রহ্যজনকভাবে না নিয়ে আসায় সে আর বাড়ি ফিরেনি সেদিন।
অপর দিকে ইট ভাটা মালিকদের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে পারাজুলের পরিবারের। পারাজুলের পরিবারের দাবি ভাটা মালিকদের গাফিলাথির কারণে তাদের ছেলে হারিয়েছে। এদিকে ৭দিন ধরে তার পরিবারের লোকজন খুজাখুজি করেও পায়নি তার সন্ধান। তার সন্ধান না পেয়ে পরিবারের মাঝে শোকের বন্যা বইছে এখন। এবি ব্রিকস ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে পারাজুলের পরিবার অভিযোগ করে বলেন,তারা আমাদের ছেলেকে খুঁজে বের করার গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা করছেনা। আমরা আমাদের ছেলেকে ফেরত চাই। তবে সব দোষ অস্বীকার করে এবি ব্রিকস ইট ভাটার ম্যানেজার সাইদুর রহমান সাইদ বলেন, আমাদের ড্রাইভার তাকে খুঁজেছিল পায়নি। সময় কম থাকার কারণে ড্রাইভাররা গাড়ি নিয়ে চলে আসেন। আমরা এখন পর্যন্ত তাকে খুঁজছি। এ বিষয়ে ১১ নং বৈরচুনা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহাজাহান আলী বলেন, ছেলেটি ৭দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। ভাটা মালিকের তেমন কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। ১১ নং বৈরচুনাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমু বলেন পরিষদে অভিযোগ দিলে আমরা সেই ভাটা মালিককে ডেকে কথা বলে পুলিশের মাধ্যমে সেই ড্রাইভারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।