সানজিম মিয়া - গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দীর্ঘদিন থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে উপজেলার দাখিল মাদ্রাসাগুলো এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুই সপ্তাহ মনিটরিং করা হয় উপজেলার বেশ কয়েকটি দাখিল মাদ্রাসায়। সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের খেয়াল খুশি মত প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকগণ (সুপারিন্টেন্ডেন্ট)।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার সময় শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে আসে। আবার দুপুর ১টার পরেই মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে চলে যান। ১০ আগষ্ট দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে কচুয়া আহমাদীয়া দাখিল মাদ্রাসা বন্ধ মাদ্রাসায় সরেজমিনে গিয়ে মাদ্রাসাটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। যদিও সরকারি নিয়ম মোতাবেক সকাল ১০ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার কথা।এ বিষয়ে মুঠোফোনে গঙ্গাচড়া উপজেলার তিনটি দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
পাইকান কুটি আলহাজ্ব তমেরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ১ আগস্ট সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দশম শ্রেণীতে মাত্র চার জন শিক্ষার্থী। অতঃপর ৭ আগস্ট গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে গেছে। মাদ্রাসা সুপার সাদেকুল ইসলামকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ আমি মেডিকেলে আছি। হয়তো তারা মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে আমার ছেলেকে দেখতে আসবে।
কচুয়া আহমাদীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইফুল ইসলাম এবং আলমবিদিতর সয়ড়াবাড়ী রহিমউদ্দীন দাখিল মাদ্রাসার সুপার সামসুল হক জানায়,ভাই দেড়টায় না, দুইটার পর ছুটি দেয়া হয়েছে। আর আমরা আজকে চাকরির বেতন তুলতে আসছি।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এটা অজুহাত মাত্র।মাদ্রাসা বন্ধ করে বেতন তোলার কোন নিয়ম নেই।এরকম যদি কেউ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহনাজ বেগম বলেন,নিয়ম শৃঙ্খলার পরিপন্থী কোন কাজ কোন প্রতিষ্ঠান সুপার করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শীঘ্রই তাদের কার্যক্রম দেখার জন্য আমি নিজে পরিদর্শন করব। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।