
মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।
নড়াইল জেলার লোহাগড়া পৌরসভা এলাকার মদিনা পড়ায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে কাবিননামা হাতে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে অনশন করছেন শাপলা খানম দিলরুবা। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে তিনি তার শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে অবস্থান শুরু করেন।
এ সময় ঐ তরুণের উপস্থিতি টের পেয়ে তার স্বামী রায়হান গা ঢাকা দেন, রায়হান মদিনা পাড়ার হাজী মোঃ আমির হোসেন ছেলে। তাদের লোহাগড়া বাজারে সর্দার বস্তালায় নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, দিলরুবা বলেন ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৮/ মাস আগে রায়হান সর্দারের সাথে পরিচয় হয় তার। অনশনের এই ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়ে যায়, এরপরে ঘটনা স্থলে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতি, লোহাগড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাম্মদ শিরিনা খাতুন ঘটনাস্থলে যান। এরপর থেকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক অফিস মিডিয়ার সাংবাদিকরা মদিনাপাড়ায় হাজী আমির হোসেন এর বাড়িতে গেলে তখন সাংবাদিকদের সাথে তার বড় ছেলে রিফাত সরদার বিভিন্ন ধরনের খারাপ আচরণ করেন।
অনশন করা ওই তরুণী উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ইতনা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। ভুক্তভোগী ওই তরুনী শাপলা খানম দিলরুবা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত তার সঙ্গে রায়হানের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল এক পর্যায়ে চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেনি স্বামী রায়হান এমনকি বিয়ের কথা অস্বীকার করেন সে। তবে ছেলে রায়হানের পরিবারের কেউ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চান নি। এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা- ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতি সাংবাদিকদের বলেন,আগামী সোমবার উভয় পক্ষ কে আমার অফিসে ডেকেছি যেহেতু মেয়েটি সংসার করতে চায় এ ব্যপারটি মিমাংসার চেষ্টা করবেন। এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নাসির উদ্দিন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন সোমবার দুই পরিবারকে ডাকা হয়েছে ইউনো মদের কার্যালয় সেখান থেকে একটা সমাধানে ব্যবস্থা করা হবে।