ঢাকামঙ্গলবার , ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গাংনীতে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধান কর্তনের অভিযোগ

Siam Hossen
সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩ ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনীতে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কয়েকজন মিলে অসহায় চায়না খাতুনের ১০ কাঠা জমির ধান কর্তন করেছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর), দিবাগত রাতে গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের মাইলমারী গ্রামের ফেলার চড়া মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
মাইলমারী গ্রামের প্রতিবন্ধী শাহিদুল ইসলামের স্ত্রী চায়না খাতুন নাম উল্লেখ করে জানান, আমার স্বামী প্রতিবন্ধী হওয়ায় মাইলমারী গ্রামের চকপাড়ার শাহজাহান আলী, খাইবার আলী, শাহ আলম, হজরত আলী ও কামাল হোসেনসহ আরও কয়েকজনে দীর্ঘদিন ধরে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমি তাদের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাগান্বিত হয়ে তারা আমার ১ বিঘা জমির ধান ক্ষেতের বিভিন্ন অংশে প্রায় ১০ কাঠা জমির ধান কর্তন করে দিয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার স্বামী প্রতিবন্ধী অক্ষম হওয়ায় আমি একটি রাইস মিল কিনে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করি যা রাতের আধারে কে বা কারা মটরে পানি ঢেলে নষ্ট করে দেয়। অবশেষে উল্লেখিত ব্যক্তিদের চাওয়া পূরণ করতে না পারায় আমার ক্ষেতের ধান কর্তন করে ক্ষতি সাধিত করেছে। আমার সঙ্গে শত্রুতা থাকতে পারে আমার ফসলে কি করেছে যে তা কর্তন করে ফেলে রাখা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, উক্ত ব্যক্তিদ্বয় স্বামী অক্ষমের সুযোগ নিয়ে চায়না খাতুনকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। লোকলজ্জার ভয়ে কিছু না বলেও মানসম্মানের জন্য চুপ থাকেন ভুক্তভোগী। মানসিক ভাবে নির্যাতন অব্যাহত থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে ইতিপূর্বে গ্রামের গণ্য মান্য ব্যক্তিদের অবহিত করে সালিশ বিচার হলেও বিবাদীগণ কোনরকম পরিবর্তন হয়নি। বরং ধান কর্তনের মতো জঘন্যতম কাজ করেছে। মঙ্গলবার সকালে লোকমুখে শুনে দ্রুত মাঠে ছুটে গিয়ে ধান কর্তন অবস্থায় দেখি। স্থানীয় অনেকের মুখে শুনি বিবাদীগণের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণে জোটবদ্ধ হয়ে ধান কর্তন করে নষ্ট করে দিয়েছে। পরবর্তীতে বিবাদীগণের কাছে ধান কর্তনের কারণ জানতে চাইলে শাহজাহান, খাইবার ও শাহ আলম তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে আরো ক্ষতি করবে বলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। যে কারণে ভুক্তভোগী এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তি বর্গের সাথে আলোচনা করে অভিযোগ করেন এবং ধান কর্তনের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী চায়না খাতুন। যাতে করে কোন ব্যক্তি যেন আর কাউকে কু-প্রস্তাব দিতে না পারে বা ফসল কর্তন করতে না পারে।
এ ব্যাপারে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাজিদ আল মামুন
মেহেরপুর প্রতিনিধি
০১৯১৫৩৫১৪৯৮