আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন দীর্ঘ ৫ থেকে ৬ বছর ধরে । এতে হতাশায় ভুগছেন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনটির স্থানীয় কর্মীরা।
উপজেলা ছাত্রলীগকর্মীরা একযোগে নিজ নিজ ফেসবুক আইডির মাধ্যমে এই অভিনব প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বেড়ে ওঠা উদ্বিগ্ন কর্মীরা কমিটির দাবিতে আন্দোলনমুখী হতে শুরু করেছেন।
জানা যায়, পদপ্রত্যাশী প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এলেও নতুন কমিটি না হওয়ায় অনেকেই ঝরে পড়ছেন। ফলে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে না এই উপজেলায়। পরিচয়হীন ছাত্ররাজনীতি থেকে অনেকেই ঘরমুখী হচ্ছেন বলে দেখা গেছে। দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রার্থীরা কাঙ্খিত পদ পেতে নিজেদের অবস্থান তুলে নেতা কর্মী ও জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরছেন। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা জোরে সোরে মাঠে নেমেছেন। এদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছে জনাব লিংকন খান সভাপতি পদপ্রার্থী
তিনি সকল ছাত্র ছাত্রীদের বিপদ আপদ সহ সংগঠনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে দিন রাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি ছোট বেলা থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত।
লিংকন খান বলেন, আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। দুর্দিনে আমি দলের আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছি। করোনা থেকে শুরু করে বন্যার সময় আমার সাধ্য মতো মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতা-কর্মীরা যাকে যোগ্যতা সম্পর্ণ ব্যক্তি মনে করবেন তাকেই নির্বাচিত করবেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার হাতকে শক্তি-শালী করার লক্ষে আমি আমতলী উপজেলা
ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছি। সংগঠন যদি আমাকে সভাপতি দায়িত্ব দেয় তা হলে আমি প্রধানমন্ত্রী ও সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা সভাপতি রেজাউল কবির রেজা এর সকল নির্দেশনা
যথাযথভাবে আমি পালন করে যাবো।