ঢাকাবুধবার , ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল কে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সাইমন হোসেন
ডিসেম্বর ২৮, ২০২২ ৪:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

সাইমন হোসেন-ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :

ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেলকে নিয়ে গত ২১ ডিসেম্বর দৈনিক কালের কন্ঠ ও চ্যানেল ২৪ রাতের সংবাদে “ঠাকুরগাঁওয়ে আপেল আতঙ্ক ” শিরোনামে ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে অনলাইনে “ঠাকুরগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর আপেল” খুন দখল চাঁদাবাজীতে বেপরোয়া’ ও পরদিন কালের কন্ঠের প্রথম পাতায় “আপেলের হুমকি গুচ্ছগ্রামে চলে যাও,মেরে ফেলবো” শিরোনামে ব্যক্তি আক্রোশ, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ হওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর ) বেলা ১২ টায় ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব হল রুমে ঠাকুরগাঁও জেলা বেসিক ট্রেড ইউনিয়নের আয়োজনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঠাকুরগাঁও জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী বাটলা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আপেল অত্যন্ত ভদ্র, মার্জিত ও সৎ একজন শ্রমিকবান্ধব নেতা। তার বাবা মরহুম আবুল হোসেন একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। ঠাকুরগাঁওয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মালিকদের অভ্যন্তরীণ বিবাদ নিরসন করতে গিয়ে আজ তিনি দেশের স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন যা কাম্য নয়। এছাড়াও চলতি বছরের ১৮ই অক্টোবরে বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতি (বাসুস) ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সেখানে যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল কে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই মতবিনিময় সভায় বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল এবং বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক মনিটরিং সদস্য এনামুল হক সোহেল সহ বাজুসের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় ব্যানারে জেলা যুবলীগ সভাপতি নাম না থাকায় সেদিনের উপস্থিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও স্বর্ণ কারিগররা উপস্থিতজনের কাছে এ বিষয়ের ব্যাখ্যা চান। এ সময় বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল আব্দুল মজিদ আপনাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তারা আচরণে উপস্থিত সভায় সকলকেই বিস্মিত হন। পরে স্থানীয় জুয়েলারী সমিতির চাপের মুখে পড়ে রুহুল আমিন রাসেল প্রকাশ্যে উপস্থিত সর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে ক্ষমা চান। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল সভাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পরে রাসেল প্রকাশ্যে বলেন “আপেলের নেতৃত্ব কিভাবে থাকে তা দেখে নিব” মূলত এসব ক্ষোভের কারণে জনাব রাসেল দেশের প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তার ব্যক্তিগত ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করছেন।

তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে যেসব সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণীত ও ভিত্তিহীন কেননা আপনারা সকলেই জানেন ঠাকুরগাঁওয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মান্নান হত্যাকাণ্ডের মূল ঘটনা। সেই হত্যাকাণ্ডে কে কে জড়িত তার মূল রহস্য ইতোমধ্যে পুলিশ উন্মোচন করেছে। তারপরেও সেই ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেলকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর তার স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু কথাটি সংবাদ ব্যবহার করে শুধু তার মনেই না সমগ্র জেলাবাসীকে ধোঁয়াশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আবার সংবাদে সালান্দর ইউনিয়নে জমি দখলে বাঁধা দেওয়ায় হত্যার সাথে তিনি কোনভাবেই জড়িত না থাকলেও তাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আবার নম্র চৌধুরীর বাড়ি দখলের কথা উল্লেখ করেও সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেলের পিতা একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ জীবিত থাকাকালে ব্যবসা করে প্রচুর জমি-জমা ক্রয় করেন যা তার সন্তানেরা ভোগ করছেন। নম্র চৌধুরীর বাড়ি দখলের যে কথা বলা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে সাসলা পেয়ালার যে জমি দখলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটিও আমাদের জানামতে জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেলের পৈত্রিক সম্পত্তি এবং সেখানে যারা বসবাস করছিলেন তাদের সেই জমিটি দেখভালের জন্য রাখা হয়েছিল। কিন্তু একটি কুচক্রী মহলের খপ্পরে পড়ে ষড়যন্ত্রমূলক তারা সেটাকে সংবাদ কর্মীদের কাছে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। অন্যদিকে সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নে আমাদের জানামতে যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেলের দশ শতক জমি ছাড়া অন্য কোন জমি না থাকলেও সংবাদ অন্যের নয় বিঘা জমি দখলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সবচেয়ে যে বিষয়টি আমাদের কাছে মিথ্যাচারের সীমা ছড়িয়েছে তা হল, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল নাকি ২০০৮ সালে ক্ষমতার পালাবদলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। অথচ আমরা দেখেছি ১৯৯৫ সালে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন। এরপর ১৯৯৭ সালে জেলা যুবলীগের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীত সম্মেলনে ব্যালটের মাধ্যমে ২০১৭ সালে তিনি জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। অথচ তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সংবাদের যা ইচ্ছা তাই উল্লেখ করা হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি এ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ সময় অন্যান্যের মতো উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা শ্রমিকলীগ, জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী পিকআপ ও কাভার ভ্যান মালিক সমিতি, ঠাকুরগাঁও জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, ঠাকুরগাঁও জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুষ), জেলা স্বর্ণকার কারিগর সমিতি, ঠাকুরগাঁও জেলা কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন সহ জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ইউনিয়ন এর নেতৃবৃন্দ।