দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ, ডেক্স রিপোর্ট :
যারা হেদায়াত প্রত্যাশা করে এবং এর জন্য চেষ্টা করে, মহান আল্লাহ তাআলা তাদের উদ্দেশ্যে কোরআনের তিলাওয়াত, বুঝা, হিফয করা, এর বিষয় বস্তু গভীরভাবে চিন্তা করে হৃদয়ংগম করা ও তার নির্দেশ অনুযায়ী আমল করা খুব সহজ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন :—
وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآَنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ (القمر:١٧)
এবং আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝা ও উপদেশ গ্রহণের জন্য। কোন চিন্তাশীল উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি? (সূরা কমর : ১৭)
আসুন এবার এ পবিত্র কুরআনকে যারা হিফয করতেছে তাদের বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।
তারা রাতের আরামের ঘুমকে হারাম করে দিনকে দিন রাতকে রাত মনে না করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে পবিত্র কোরআনের ত্রিশটি পাড়া অন্তরে ধরে রেখেছেন। তারা পবিত্র কোরআনের হাফিজ এবং মহান আল্লাহ তয়ালার প্রিয় বন্ধু। তাদের সাথে কোন অবস্থাতে শত্রুতা পোষণ করা ঠিক নহে। সব সময় তাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা রাখা উচিত।
রাসুল (স:) বলেন, হাফেজে কোরআন মহান আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বন্ধু। যে তাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করবে আল্লাহ তার সাথে শত্রুতা পোষণ করবে, আর যে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্টতা রাখবে আল্লাহ তাদের সাথে ঘনিষ্টতা রাখবে। (জামে সগীর)
পৃথিবীতে অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থ কেউ মুখস্ত করতে সক্ষম হয়নি এবং হবে না। কিন্তু অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাদের অন্তরে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন বিদ্যমান রয়েছে। অন্তরে বিদ্যমান রত হাফেজের জন্য আল্লাহ জান্নাতে বিশেষ স্থান নির্ধারন করে রেখে দিয়েছেন।
রাসুল (স:) বলেন, জান্নাতে একটি নদী রয়েছে যার নাম রাইয়ান। তার উপর মারজানের একটি শহর রয়েছে। যা সত্তুর হাজার স্বর্ন ও রৌপ্য দ্বারা প্রস্তুত। তা একমাত্র কোরআনে হাফিজদের জন্য নির্ধারন করে রাখা হয়েছে। (কানযুল উম্মাল)
অত্যন্ত দু:খ জনক সত্য হচ্ছে এই ঐশী জ্ঞানের ধারক হাফেজে কোরআনদের কিছু ব্যক্তি তুচ্ছ তাচ্ছিল্যভরে দেখছে। সমাজে হাফেজদের দুর্বল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে এক শ্রেণির মানুষ। আবহমানকাল ধরে কোরআনে হাফেজদের প্রতি যে গভীর ভক্তি ও শ্রদ্ধা বদ্ধমূল ছিল। তা নষ্ট করার জন্য তারা সর্ব শক্তি ব্যয় করছে। তাদেরকে গরীব বলে অবহেলিত করা হচ্ছে।
কিন্তু মহান আল্লাহর কাছে কোরআনে হাফেজগন ধনী ব্যক্তি এবং পবিত্র কোরআন সংরক্ষন আল্লাহ তায়ালা হাফিজদের দিয়ে করিয়ে থাকেন। হজরত আবু যর গিফরী (রা:) হতে বর্ণিত, রাসুল (স:) বলেন, “সবচেয়ে ধনী হল হাফেজে কোরআন যার হৃদয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনুল কারীম সংরক্ষন করেছেন। (কানযুল উম্মাল)।
আর কুরআনে হাফেজদের মর্যাদা কেমন হবে?
রাসূল(সাঃ)ইরশাদ করেন,যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করবে এবং একে হিফয করবে এবং এর যাবতীয় হালাল বিষয়গুলোকে হালাল ও হারাম বিষয়সমূহকে হারাম মনে করবে আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।শুধু তাই নয়,তার পরিবারস্থ এমন দশ ব্যক্তির ব্যাপারে তার সুপারিশ মকবুল হবে যারা দোযখে যাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গিয়েছিল।(তিরমিযী শরীফ-২ঃ১১৪)