মোঃ ইমরান হোসাইন আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

বরগুনার আমতলীতে চলছে সরকারী জমি দখলের মহোৎসব। যেযেখানে যেভাবে পারছে সে ভাবে দখল করছে । দখল করেই প্রভাবশালীর পাকা স্থাপনা নির্মান করছে কেহ দুই তিন তলা ভবন ও করছেন। মনে হয় যেন দেশে কোন আইন কানুন নাই। এমনকি প্রভাবশালীরা আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে উপজেলা ভুমি অফিসের নিষেধ অমান্য করে দখল করছে সরকারী জমি।

সম্প্রতি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বটতলা বাসস্ট্যান্ড সলগ্ন উত্তর পাশে এক সরকারী প্রভাবশালী আমলা ও একই ওয়ার্ডের রব মিয়ার মিল সলগ্ন সাহালোম মিয়ার , কৃষি ব্যাংক অফিসার মো.মজিবুর রহমানসহ শতাধিক প্রভাবশালী অবৈধ ভাবে ঘর উত্তোলন করতেছেন। কৃষি ব্যাংক অফিসার মো. মজিবুর রহমান কর্তৃক দখলকৃত জমি ইতিপূর্বে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার মহোদ্বয় তিনবার উচ্চেদ করে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। তিনবারই উচ্ছেদের কিছু দিন পরই মজিবর রহমান পুনরায় বেড়া দিয়ে আটকিয়ে রাখেন। বর্তমানে তিন উক্ত জমিটি বেড়া দিয়ে আটকিয়ে রেখেছেন যাতে সাধারন মানুষ ও এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলা ধুলাও করতে পারেনা। মজিবুর রহমান সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখি সরকারী জমি দখল কওে যাচ্ছেন। খোজ নিয়ে জানা গেেেছ ও স্থানীয়রা জানান, তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাহালোম মিয়া মেয়ে জামাতা বরগুনা আয়কর বিভাগে কর্মরত ধনকুবের মো. আবু ইউছুফ মিয়ার অর্থায়নে সরকারী জমিেিত বহুতল ভবন নির্মান করছেন। সেখানে উপজেলা ভুমি অফিস থেকে কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে । ভুমি অফিসের নিষেধকে অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সাহ আলম মিয়া । এ ছাড়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের খোন্তাকাটা, বাইতুলমান জামে মসজিদ এলাকায় সাবেক কাইন্সলর শাহা আলম মিয়ার বাসা সলগ্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত চলছে সরকারী জমি দখল।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্বি দখল করলেও প্রশাসনের তেমন কোন পদক্ষেপ নাই। অভিযোগ পেলে নামকেওয়াস্তে নিষেধ করা হয় । দু একদিন কাজ বন্দ থাকে তারপর আবার কাজ শুরু হয়ে যায় । দখল হয়ে যায় সরকারী জমি।এভাবে আমতলী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে প্রতিনিয়ত সরকারী জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত গৃহহনিদের জন্য ঘর নির্মানের জন্য জমি পাওয়া যাচ্ছেনা। আমতলী উপজেলা খাস জমি বন্দোবস্ত কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, সরকারী সম্পত্তি দখল মুক্ত করার জন্য প্রশাসনিক কাজ চলমান রয়েছে । আইনগত ভাবে সরকারী সম্পত্তি দখল মুক্ত করা হবে।