ঢাকামঙ্গলবার , ৯ এপ্রিল ২০২৪

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার দোয়ারাবাজারে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মানহানির অভিযোগ

শাওন রায়
এপ্রিল ৯, ২০২৪ ৮:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

দোয়ারাবাজারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার চালিয়ে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মানহানি ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কানন আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, মূলত আজমপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজে কিছু হলুদ সাংবাদিক দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকায় তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আজমপুর সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজে দূর্নীতির সাথে জড়িত হয়ে প্রকল্পের দূর্নীতি দামা চাপা দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগে থাকে কথিত হলুদ সাংবাদিক উপজেলার নৈনগাও গ্রামের রাজাকার কমান্ডার আব্দুর রশিদের পুত্র আশিক মিয়া, সাংবাদিক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ হেলালী, আসিশ রহমান, হারুনুর রশিদ, আব্দুল সালিক মিলন তালুকদার, আলাউদ্দিনসহ আরো অজ্ঞাতনামা কয়েকজন। এ ঘটনায় দরখাস্তকারী বাদী অ্যাড. কানন আলমের পিতা মান্নারগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য ফরহাদ আলম প্রতিবাদ করেন। দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারনে হলুদ সাংবাদিকরা ক্ষেপে গিয়ে হামলা, মামলা ও প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে। সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলবেঁধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে কথিত হলুদ সাংবাদিকরা। শুধু মিথ্যা, অসত্য, বানোয়াট ও কাল্পনিক অপপ্রচার করে কান্ত হয়নি তারা উল্টো বাদীর প্রবাসী সদস্যদের কাছে ও নিকট আত্মীয়দের কাছে মোটা অংকের চাদা দাবী করে। এমনকি বাদীর পিতার বোজনা মৌজার দখলীয় সম্পত্তি একত্রিত হয়ে আত্মসাতের পায়তারা করছেত ঐ প্রতারক হলুদ সাংবাদিকরা। তাদের এহেন কার্যক্রমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, কথিত ঐ সাইবার প্রতারক হলুদ সাংবাদিকরা ভারতীয় পণ্য চোরাচালানীর সাথে জড়িত। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে এসব হলুদ সাংবাদিকরা ভারত থেকে চোরাই পথে অবৈধভাবে চিনি, পেয়াজ, কমলা, মাল্টা, আপেল, আঙ্গুর, কিচমিচ, গরু, মহিষ ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ আরো জিনিসপত্র পাচার করে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। সাংবাদিক পরিচয় দিলেই পার পেয়ে যাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে মামলার বাদী অ্যাড. কানন আলম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আজমপুর সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজে সামান্য অর্থের লোভে দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন উপজেলার কথিত কিছু প্রতারক হলুদ সাংবাদিকরা। স্বাধীনতার পূর্ব হতেই আমারা পারিবারিকভাবেই জনসেবায় নিয়জিত রয়েছি, আমার বাবা একজন বর্তমান জনপ্রতিনিধি ও শালীসি ব্যাক্তিত্ব হওয়ায় অন্যায় অনিয়মের প্রতিবাদে করলে ঐ প্রতারক হলুদ সাংবাদিকরা ক্ষেপে যায়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য উপাত্ত, পরিচিতি তথ্য ব্যবহার করে ও উস্কানিমূলক অপপ্রচার চালাতে থাকে। এদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং তাদের এরকম কর্মকান্ডে এলাকায় যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এ ঘটনায় মাননীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল সিলেটে আমি একটি মামলা দায়ের করেছি। যার শুনানীর দিন আগামী ১৬ জুন,২০২৪ খ্রি ধার্য্য করা হয়েছে। গতকাল প্রতারক হলুদ সাংবাদিকদের বিরোদ্ধে আমি জিডি এন্ট্রির আবেদন করেছি।