
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর পত্নীতলায় আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন জিয়াউর রহমান জনি। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৬ জানুয়ারী) দুপুরে উপজেলা সদর নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অর্ধশতাধিক দুস্থ অসহায় মানুষদের তৃপ্তি সহকারে পেট ভরে খাবার এবং শীতবস্ত্র কম্বল উপহার দেওয়া হয়েছে।
প্রতি শুক্রবার নামাজ শেষে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড ধামইর রোডের তৃপ্তি হোটেলের সামনে টেবিল চেয়ারে বসে ৩০/৪০ জন মানুষের খাবার খাওয়ার দৃশ্য দেখে মনে হবে এখানে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানের খাবার খাওয়ানে হচ্ছে আসলে তেমন কিছুই নয় এখানে ভিক্ষুক অসহায় মানুষদের মেহমানদারী একবেলা পেট ভরে ভাল খাবার খাওয়ান স্থানীয় যুবক সহজ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক জিয়াউর রহমান জনি।
প্রতি শুক্রবারের ন্যায় আজ দুপুরেও প্রায় ৬০ জন অসহায় মানুষ টেবিল চেয়ারে বসে মাছ, ডাল, ভাজি, দিয়ে আনন্দ উল্লাসে ভাত খাচ্ছেন। তাদের মেহমানদারী করছেন জনি। একবেলা তৃপ্ত সহকারে ভাল খাবার খেয়ে তাদের চোখে মুখে আনন্দের ঝিলক।
খেতে আসা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সিদ্দিক আলী বলেন, জন্মের পর থেকে আমার দুই চোখ অন্ধ নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসে বাসে ভিক্ষা করি। দুই মেয়ে বিয়ে হয়েগেছে ছেলে নাই, ভিক্ষার টাকায় কোনোমতে জীবন বাঁচায়। ভালো-মন্দ খাবার আশা করাই তো দোষের। সপ্তাহে এক দিন এখানে আসি একটু ভালো খাবারের আশায়। আজ খাবারের সাথে কম্বল পেয়ে খুব ভাল লাগছে। আল্লাহ যেন জনি ভাইয়ের ভালো করে। আমরা সবাই খাই হোটেল বিল দেন জনি ভাই।
এমন মহতী উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জিয়াউর রহমান জনি বলেন, অসহায় ব্যক্তিদের জন্য আমার মন কাঁদে। আমার যেটুকু সামর্থ আছে তা থেকেই মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। বন্যা, করোনা মহামারী, প্রচন্ড শীতে বিভিন্ন দূর্যোগের সময় মানুষের পাশে ছিলাম। দেশে যখন প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব হয় তখন থেকে অভাবী ও দুঃখী মানুষদের মুখে এভাবে এক বেলা খাবার দিয়ে আসছি। আল্লাহ সামর্থ্য দিলে যত দিন বেঁচে থাকব, তত দিন এই কাজ করে যেতে চাই আমি।
এছাড়া অসহায় মানুষকে শাড়ি লুঙ্গি, অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসায় সহায়তা করে আসছি। কোন ব্যক্তি বা সংগঠন এগিয়ে আসলে আমি প্রতিদন একবেলা খাবার চালু করতে চাই, ভবিষ্যতে আমার গ্রামে একটি বৃদ্ধাশ্রম করার পরিকল্পনা আছে। তিনি সমাজের বিত্তবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
উজ্জ্বল কুমার সরকার
ফোনঃ০১৭২৬-৩৭৬২৮২ তারিখ ৭/১/২৩
নওগাঁ।