ঢাকামঙ্গলবার , ১০ জানুয়ারি ২০২৩

নর্থ বেঙ্গলের হাত ধরে উত্তরবঙ্গে “ব্যান্ড সংগীতের” বিপ্লব

তানভীরুল আলম তোহা
জানুয়ারি ১০, ২০২৩ ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!
                       

তানভীরুল আলম তোহা, রাজশাহী

বাংলাদেশ ব্যান্ডের যাত্রা শুরু কিন্তু অনেক আগেই। তবে, উত্তরবঙ্গে এর প্রচলন খুব বেশি দিনের নয়। আজম খান স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে গড়ে তুলেছিলেন ‘উচ্চারণ’ নামে একটি ব্যান্ড দল ৷ যতদূর জানা যায়, স্বাধীন বাংলাদেশ এ সেটাই প্রথম ব্যান্ড মিউজিক এর গ্রুপ ৷ এরপর যাঁর নাম শোনা যায়, তিনি ফিরোজ সাঁই ৷ ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ এর নামও রাখা যায় একই সারিতে ৷

আজম খান তাঁর ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’-এর মাধ্যমে গেয়েছেন ‘সালেকা মালেকা’, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অভিমানী, ‘মুক্তিসেনা আমি’-র মতো গান৷ আর এইসব গান সাধারণ মানুষকে সংগীত নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে ৷ তাঁদের কৌতূহলী করেছে৷ এরপর ‘মাইলস’ আর ‘সোলস’ নামের দু’টি গ্রুপ অনেকদিন রাজত্ব করে৷ সাফিন আহমেদ আর তপন চৌধুরী বাংলা ব্যান্ড এ যোগ করেন নতুন এক ধারা ৷ আরো যোগ হয় ফিডব্যাক, ফিলিংস, নগর বাউল, রেনেসাঁ ৷ ব্যান্ড সংগীত এর লিজেন্ড আইয়ূব বাচ্চুর ‘এলআরবি’ আর জেমস-এর ‘নগর বাউল’ বাংলাদেশ এর ব্যান্ড সংগীতকে নতুন উচ্চতা দেয় ৷ এরাই সাধারণ এর মাঝে নিয়ে যায় বাংলা ব্যান্ড মিউজিককে ৷ খোলা মাঠে, এমনকি রাস্তার পাশে তাঁদের ব্যান্ডের গান, সেটা মেটাল আর হেভি মেটাল যা-ই হোকনা কেন, তরুণদের আকর্ষণ করে ব্যাপক ভাবে ৷ আর ‘ওয়েভস’ নামে একটি গ্রুপ বাংলাদেশে হেভি মেটালের যাত্রা শুরু করে৷ এরপর আর সেভাবে পেছনে তাকাতে হয়নি কাউকে সবার মাঝেই ধিরে ধিরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ব্যান্ড সংগীতগুলো।

তবে, উত্তরবঙ্গ তথা রাজশাহী, রংপুরের মতো এসব জায়গায় ব্যান্ড সংগীতের প্রচলন ছিল না বললেই চলে। সেসব বাধা কে অতিক্রম করে উত্তরবঙ্গে ব্যান্ড মিউজিক কে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে মরুয়া হয়ে ওঠে “নর্থ বেঙ্গল ব্যান্ড মিউজিক ফ্যানস” তথা (এনবিবিএমএফসি)। সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় সকল ব্যান্ডের সাথে তারা যোগাযোগ ও স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। লক্ষ্য করলে বিষয়গুলো সুন্দর ভাবে উঠে আসে যে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ব্যান্ড Nagarbaul, Ashes, AvoidRafa,Warfaze, Highway সহ আরও অনেকেই শুভেচ্ছা ও জানাচ্ছেন এই “নর্থ বেঙ্গল ব্যান্ড মিউজিক ফ্যানস” গ্রুপ কে। গ্রুপ টি পরিচালনা করছেন ফাউন্ডার আহমেদ আশিক এছাড়াও রয়েছেন ফাহমিদা, মোস্তাফিজ, নাইমুর, প্রান্ত,বর্ন,কাজল,মুন,ফুয়াদ,ফাহাদ,সাগর,শিশির,সিনহা,তন্ময়, ফাহিম, জাকারিয়া, ইফরাদ সহ আরও অনেকে। একসময় দেখা যেত যে ব্যান্ডের গান শুধু শহুরে কিংবা সমাজের একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষই শুনছেন। তবে এখন ব্যান্ড মিউজিক ছড়িয়ে গেছে এবং যাচ্ছে দেশের প্রান্তিক এলাকায়। বাংলা গানের জয় হোক। ব্যান্ড সঙ্গীত আরও ছড়িয়ে যাক। এমন টায় প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।