
উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ থেকেঃ
নওগাঁসহ সারাদেশে উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে কুয়াশার চাদরে মোড়ানো নওগাঁ বিভিন্ন উপজেলার মহাদেবপুরে প্রচন্ড শীতে মানুষ জুবুথুবু হয়ে পড়েছে। জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কাজ এবং কোন প্রয়োজন ছাড়া উপজেলাবাসী ঘরের বাহির হচ্ছে না। উপজেলার শীর্তাত দরিদ্র অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণের লক্ষ্যে সরকারি ভাবে যে পরিমান কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। শীতের দাপটে উপজেলায় ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে কয়েক গুণ। উপজেলার প্রায় প্রতিটি পরিবারেই ডায়রিয়া, রক্ত আমসা, জ্বর সর্দি ও শিশুদের নিউমুনিয়াসহ ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উপজেলার ৩৬ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে এবং ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সপ্তাহব্যাপী শৈত্য প্রবহে ১৫ শ” ৯২ জন ওইসব রোগে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধার সংখ্যা বেশি বলে সংশ্লিষ্ট কমিউনিটি ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক সুুুুত্র জানান। শীতে হাড়কাঁপানো শত শত অসহায় শীর্তাত মানুষ একটা কম্বলের আসায় উপজেলা চত্বরে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ধর্ণা দিচ্ছে। ওইসব শীর্তাত অসহায় মানুষ তাদের চাহিদার কম্বল না পেয়ে ক্ষোভে হতাশা প্রকাশ করে বাড়ী ফিরছেন বেশীভাগ অসহায় মানুষ। এদিকে অভিযোগ রয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার মনোনীত ব্যক্তি ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে সরকারি বরাদ্দকৃত কয়েক শ” কম্বল সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য দেয়। তবে ওইসব কম্বল আদৌ বিতরণ হয়েছে কিনা গতকাল ১০ জানুয়ারী এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কোন মাধ্যম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার বিশেষ ব্যাক্তি এবং নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে কম্বল দেয়ার ঘটনায় উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগন রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুলতান হোসেন বলেন, এবছর সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ৪ হাজার ৯ শ” পিচ কম্বল দেয়া হয়েছে। এসব কম্বল ১০ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জন প্রতিনিধি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিছু স্বেচ্ছাসেবক ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে বিতরণ করেন। তবে বরাদ্দকৃত কম্বল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান। ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ মোঃ খুরশিদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ওষুধের কোন ঘাটতি নেই।