ঢাকারবিবার , ১৮ আগস্ট ২০২৪

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন পরবর্তী, ডিপার্টমেন্ট সংস্করণে ‘জবি’ ১৫ তম আবর্তনের দাবি

আব্দুল্লাহ আল রাকিব, এডিটর
আগস্ট ১৮, ২০২৪ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন পরবর্তী এবং ডিপার্টমেন্ট সংস্করণে ১৫ তম আবর্তনের দাবি সমূহ:

১. কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অনুভূতি, পোশাক নিয়ে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে কটুক্তি , ব্যক্তিগত বিষয়ে আক্রমণ করতে পারবে না।

২. টিচার্স এভালুয়েসন সিস্টেম চালু করা যত শীঘ্রই সম্ভব, এই সিস্টেম চালু ব্যতিত আমরা কেউ ক্লাসে যাবো না।

৩. ডিসেম্বর মাসের ভিতরেই আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নিতে হবে।

৪. সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় কোনো কোর্সে ৩০/৪০ জনের মত ইমপ্রুভ আসলে বিষয়টি পর্যালোচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৫. চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্স এর সকল ক্লাস দুপুর ১ টার ভিতর শেষ করতে হবে।

৬.ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষক উদাসীন মনোভাব নিয়ে আসতে পারবেন না। সঠিক সময়ে ক্লাস নিতে হবে। সকাল ১০টায় বলে ৩টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা চলবে না।

৭. ডিপার্টমেন্টে একটি অভিযোগ বাক্স রাখতে হবে এবং নিয়মিত অভিযোগ গুলো আমলে আনা এবং সমাধান প্রদান করতে হবে।

৮. পুরো ডিপার্টমেন্টে ভালো ইন্টারনেট ব্যবস্থা সরবরাহ করতে হবে, বিশেষ করে সেমিনার রুমে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করতে হবে।

৯. মেয়েদের কমনরুমে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে হবে।

১০. আন্দোলন চলাকালীন সময়ে অনলাইনে আন্দোলনকারীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয় যার সাথে বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্টতা লক্ষ্য করা যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী হয় তবে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে।

১১. ইংরেজি বিভাগ সম্পূর্ণ রাজনীতি মুক্ত করতে হবে। কেউ কোনো রকম রাজনৈতিক প্রচার, প্রসার এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার জেরে কাউকে কোনোভাবেই লাঞ্চিত করা যাবে না।

১২. কার্যকর এলামনাই কমিটি গঠন এবং দক্ষ হাতে পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

১৩. এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটির জন্য আলাদা ফান্ডিং নিশ্চিত করা এবং তার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।

১৪. Listening and speaking এর জন্য বিভিন্ন ডিভাইস লাগানো এবং সময়মত সার্ভিসিং করতে হবে।

১৫. চতুর্থ বর্ষের সেমিস্টার ফাইনালের পর পর্যালোচনা করে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীর ভিত্তিতে এবং কোর্সের ভিত্তিতে আবার ইমপ্রুভমেন্ট এক্সামের ব্যাবস্থা করতে হবে।

১৬. চেয়ারম্যান স্যারের বক্তব্যের দুই ধরনের ইন্টারপ্রিটেশনের কারণে একধরনের কনফিউশন তৈরি হয়েছে। কারো কারো মনে এই নিয়ে তিক্ত অনুভূতির সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা চাই স্যার যেন সবার সামনে উনার বিবৃতিটি দেন।