
ডিমলা (নীলফামারী) সংবাদদাতা
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় ফ্রিজিয়ান গাভীরটির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুল চিকিৎসায় ৭ মাসের অন্ত সত্তা গাভীর মৃত্যুর অভিযোগ এনে একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে পল্লী পশু চিকিৎসক সাইফুল্লাহ সেলিমের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন । বুধবার (২৫শে জানুয়ারি) উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুর গঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গরুর খামারি দেলোয়ার হোসেন জানান, গরু মোটাতাজাকরণ ও উন্নত জাতের ফ্রিজিয়ান গরুর ছোট খামার রয়েছে তার। গত বুধবার খামারে থাকা সাত মাসের একটি গর্ভবতী গরুর গর্ভ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য স্থানীয় পশু চিকিৎসক সাইফুল্লাহ সেলিমকে ডাকা হলে গাভীটি দেখে তিনি বলেন, গাভীর প্রসব ব্যথা উঠানোর জন্য ইনজেকশন পুশ করতে হবে। এই ইনজেকশনে স্বাভাবিক ব্যথা হলে সেরে যাবে আর প্রসবের ব্যথা হলে, ব্যথা তীব্র হবে ও গাভীর বাছুর প্রসব হবে। ইনজেকশন পুশ করার কিছুক্ষণ পর দুই জন মিলে বাছুর টেনে বের করার এক পর্যায়ে পেটের নাড়ি ভুড়ি বের হয়ে আসে। এই অবস্থা দেখে তারা ভীত হয়ে নাড়িভুঁড়ি আবার পেটের ভিতর ঢুকিয়ে সেলাই করে দেন। এর কিছুক্ষণ গাভীটি নিস্তেজ হয়ে মারা যায়। এই অবস্থা দেখে পল্লী চিকিৎসক ওষুধ নিয়ে আসি বলে সটকে পড়ে।
তিনি আরো বলেন,আমি ছোট একটি গরুর খামারি। ব্যবসার পাশাপাশি ছোট একটি গরুর খামার তৈরি করেছি। আমি একজন গরিব মানুষ। আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ভুল চিকিৎসায় মৃত গাভীটির বর্তমান বাজার মূল্য ২ লাখ ২০ হাজার টাক । আমি এই পল্লী চিকিৎসকের উপযুক্ত বিচার চাই। অদূর ভবিষ্যতে অন্য কেউ যেন আর এই ভুল চিকিৎসার শিকার না হন। এ বিষয়ে মুঠোফোনে গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার আংশিক স্বীকার করে বলেন, সে ইস্পাভেট ইনজেকশন পুশ করেন। পরবর্তীতে ডিমলা উপজেলা প্রানীসম্পদ ভেটেনারি সার্জন মোতাহারুল ইসলামের সহিত মুঠোফোন কথা হলেও তিনি ঘটনাস্হলে গিয়ে গাভীটির শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা দেখেছেন বলে জানান। ডিমলা থানা ইনচার্জ (ওসি) মো. লাইছুর রহমান বলেন, গাভী মৃত্যুর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।