মনজু হোসেন স্টাফ রিপোর্টারঃ
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় কামরুল ইসলাম(৩৫) এর হত্যাকারীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ভোররাতে হত্যাকারী দিদার আলী (৪০) কে শালবাহান ইউনিয়নের ছোপাগছ গ্রামে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আটকের পর ওই দিনই বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের গরিয়াগছ গ্রামের সাবদার আলীর ছেলে। উল্লেখ্য, নিখোঁজের পর বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউপির ধানশুকা এলাকার একটি চা বাগানের ড্রেন থেকে কামরুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাকিবুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরীসহ অন্যান্য বিভিন্ন পদ মর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ, ভজনপুর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ও জেলার উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এবং তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরীর তত্বাবধানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লতিফ এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ লাশ উদ্ধারের পর হত্যা রহস্য উদঘাটন এবং আসামি আটকের অভিযান চালানোর ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই হত্যাকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, কামরুলের হত্যাকারীকে ২৪ঘন্টা না পেরুতেই আটক করতে সক্ষম হয়েছি। আটকের পর আসামী স্বীকারোক্তিমুলক জবান বন্দি দিয়েছেন। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরোও জানা যায়, লাশ উদ্ধারের পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) নিহত কামরুলের পিতা আব্দুল জব্বার দন্ডবিধি আইনের ৩০২/২৯১/৩৪ ধারায় একটি মামলা দাখিল করেন। যার মামলা নং- ১৭। তেঁতুলিয়া মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের জোগীগছ গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বাড়িতে ফিরে না গেলে পরিবার তাকে অনেক খোঁজা-খুঁজি করেন। এক পর্যায় খুঁজে না পেলে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) পরিবার থানায় এসে একটি সাধারন ডায়েরী করে। জিডির দিনই উপজেলার দেবনগর ইউপি’র ধানশুকা নামক এলাকার চা বাগানের ড্রেন হতে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।