নন্দীগ্রাম বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া-৪ আসনের নন্দীগ্রাম উপজেলার ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন হিরো আলম। তিনি অভিযোগ করেন, এ উপজেলার চাকলমা ভোট কেন্দ্রে যাওয়া মাত্রই তাকে বাঁধা দেয় পুলিশ। গত ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনেও চাকলমা ভোট কেন্দ্রে তার ওপর হামলা হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই ভোট কেন্দ্রে যেতেই দায়িত্বরত এসআই আব্দুল মতিন আমার লোকজন এবং সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। প্রিজাইডিং অফিসারও উত্তেজিত ছিলেন। নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালন করা সাংবাদিকদের ধাক্কা দিয়েছে সেখানে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। কেন্দ্রে আমাকে ঢুকতে দেয়নি, সাংবাদিকরাও ঢুকতে পারেনি। ওই কেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টকে ঢুকতেই দেয়নি। অধিকাংশ কেন্দ্রেই এমন হয়েছে। বুঝলেন তো অবস্থা! বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া-৪ আসনের ভোটগ্রহণ শেষে বিকেলে এক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম আরও বলেন, আমি হারলে ভেবে নিবেন ভোট সুষ্ঠু হয়নি। এই আসনের যেসব ভোট কেন্দ্র গিয়েছি, সবখানেই গণজোয়ার দেখেছি। ভোট সুষ্ঠু হলে আমিই এমপি হবো, গ্যারান্টি দিচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত এই স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, ভোট কেন্দ্রে এসেই জানতে পারি আমার পোলিং এজেন্টকে তারা ঢুকতে দেয়নি। ডুবাতেঘর কেন্দ্রে জাসদ (মশাল) প্রার্থীর লোকজন আমাকে দেখেই উত্তেজিত ছিল। আমার এজেন্টকে কেন্দ্রেই যেতে দেয়নি। নন্দীগ্রাম ও কাহালু সংসদীয় শূন্য আসনের উপনির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ১১২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে।
উপনির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অংশ নেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধিন ১৪ দলের মনোনীত জাসদ একেএম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল প্রতীক), জাতীয় পার্টি (জিএম কাদের) মনোনীত শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক (লাঙ্গল প্রতীক), বিএনপির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল (কুড়াল প্রতীক), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান কাজল (ট্রাক প্রতীক), সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল হোসেন হিরো আলম (একতারা প্রতীক), জাকের পার্টির (গোলাপ ফুল প্রতীক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. তাজ উদ্দিন (ডাব প্রতীক), মো. ইলিয়াস আলী (কলার ছড়ি প্রতীক) ও গোলাম মোস্তফা (দালান প্রতীক)। নির্বাচন অফিস সুত্র জানায়, বগুড়া-৪ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯। এর মধ্যে কাহালুতে ৯০ হাজার ৯৬৩ জন নারী এবং ৮৯ হাজার ৮৮০ জন পুরুষ ভোটার। নন্দীগ্রামে ৭৪ হাজার ৪৭১জন নারী এবং ৭৩ হাজার ১৫৫ জন পুরুষ ভোটার। এই আসনে নারী ভোটার বেশি।