
কুবি প্রতিনিধি:
প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘নবান্ন উৎসব-১৪২৯’ উদযাপন করলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবর্তন। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের পাশে প্রাচীন নবান্ন উৎসবে হওয়া মেলার মতো বিভিন্ন স্টল দেয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমেই উৎসব শুরু হয়।
দিনব্যাপী এই স্টলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নানারকম জিনিসপত্র বিক্রি করেন। কেউ কেউ হাতে বানানো জিনিসপত্র, কেউ পাঞ্জাবি, কেউ বা খাবার বিক্রি করেন।
একই দিন বিকেলে নবান্ন উৎসব উপলক্ষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন অনুপ্রাস কণ্ঠচর্চা কেন্দ্র, ব্যান্ডদল প্লাটফর্ম, প্রতিবর্তনের বর্ণাঢ্য পরিবেশনা ছিল। এছাড়া এ অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংগীতের গানের দল ‘সরলা’।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের প্রধান ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সহ আরো অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আয়োজনটা অনেক অসাধারণ হয়েছে, আমি অনেক উপভোগ করেছি। উপাচার্য হওয়ার আগে কখনই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা হয় নাই। এক জিনিস আমি বলি সবসময়ই বলি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখি নাই প্রতি সপ্তাহে একটা নয় একটা প্রোগ্রাম লেগেই থাকতে।
উল্লেখ্য, নবান্ন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ধানের বা পিঠার উৎসব। বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয়, নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম। “নবান্ন” শব্দের অর্থ নতুন অন্ন। নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোথাও মাঘ মাসেও নবান্ন উদ্যাপনের প্রথা রয়েছে।