উজ্জ্বল কুমার সরকার-নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় ভালোবাসা দিবস পালন করা হলোনা তানিয়া আক্তার বৃষ্টি, ভালোবেসে বিয়ে করার দু' বছর পার না হতেই কেন জীবন দিলো প্রেমিকা-বধূ তানিয়া আক্তার বৃষ্টি.?আর কেনই বা তরিঘরি করে চেষ্টাকরা হলো দাফনের??
প্রেম করে বিয়ের দু' বছর পার না হতেই জীবন দিলো প্রেমিকা-বধূ তানিয়া আক্তার বৃষ্টি-কিন্তু কেন কি ছিল তার ব্যাথা কি ছিল তার অপরাধ নিজের জীবন দিয়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে ?-প্রশ্ন জনমনে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। আর কেনই বা প্রশাসনকে ঘটনাটি না জানিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রশাসনকে না জানিয়ে এবং অনুমতি না নিয়ে দাফনের পস্তুতি নেওয়া হচ্ছিলো.? এ প্রেমিকা-বধূ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ১৩ ফেব্রুয়ারী নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ১০ নং ভীমপুর ইউনিয়নের বাগাচারা গ্রামে। মৃত্যু বরণকারী তানিয়া আক্তার বৃষ্টি বাগাচারা গ্রামের আব্দুল লতিফ এর মেয়ে এবং একই গ্রামের সাদেকুল ইসলাম এর স্ত্রী।
বাগাচারা গ্রামের মকবুল হোসেন এর ছেলে যুবক সাদেকুল ইসলাম (২৬) নিজ গ্রামের মেয়ে তানিয়া আক্তার বৃষ্টি (২০) এর সাথে প্রেম (ভালোবাসা) সম্পর্ক গড়ে তোলার পর প্রায় দু' বছর পূর্বে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। এরপর সোমবার বেলা ১১ টারদিকে প্রেমিকা-বধূ তানিয়া আক্তার বৃষ্টি প্রেমিক-স্বামী সাদেকুল ইসলামের বাড়িতে গ্যাস বড়ি সেবন করেন এমনটাই স্থানিয়দের মাঝে প্রকাশ করার পরই স্বামীর পরিবারের লোকজন তানিয়া আক্তার বৃষ্টি কে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে আশংখ্যাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তানিয়া আক্তার বৃষ্টির মৃত্যু হয়। এরপর তানিয়া'র মৃতদেহ গ্রামে আনার পর স্বামীর বাড়ির খলিয়ানে রেখে নিহতের স্বামী ও পিতার পরিবার সহ উভয় পক্ষের (স্বজন) লোকজনরা সমঝোতার ভিত্তিতে কারো কোন অভিযোগ নেই বলে মৃতদেহ দাফনের সীদ্ধান্ত নেয়।
খবর পেয়ে মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জিয়াউর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান। এসময় প্রেমিকা-বধূ'র মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রতিবেদক সহ সংবাদকর্মীরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নিহতের স্বামী ও পিতার পরিবারের লোকজন সহ স্বজনরা এস আই জিয়াউর রহমান এবং উপস্থিত সংবাদকর্মীদের কে জানান, আমাদের দু'পক্ষের-ই কারো কোন অভিযোগ নেই এবং আমরা মৃতদেহ ময়না তদন্ত করাতেও চাই না বা কোন সংবাদ প্রকাশ করাতেও চাইনা। স্বজনদের এমন কথাশুনে পুলিশ কর্মকর্তা এস আই জিয়াউর রহমান গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তার দিক-নির্দেশনায় স্থানিয় জনপ্রতিনিধি সহ উপস্থিত গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সহযোগীতায় অবশেষে সন্ধার পর ঘটনাস্থল থেকে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক পুলিশি হেফাজতে নেয়। তবে-তানিয়া আক্তার বৃষ্টির মৃত্যুতে পরিবার ও স্বজনদের পাশাপাশি গ্রামের লোকজনের মাঝেও নেমেছে শোকের ছাঁয়া।