
উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ নওগাঁঃ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর পোরশা উপজেলার সরাইগাছি বাজার এলাকা হতে ঋণ দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে কথিত এনজিও এর মূলহোতা নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা (২৯) ও এনজিও সদস্য মোঃ তোফাজ্জল হোসেন (৫৭) নামের ২ জনকে আটক করেছে র্যাব।
সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে জানানো হয়,
জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ মোস্তফা জামান এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মোঃ মাসুদ রানার নেতৃত্বে মঙ্গলবার বিকেল সারে ৩ টারদিকে ২ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃত দু’জন হলেন, পোরশা উপজেলার কালাইবাড়ী গ্রামের আবজাল হোসেন এর ছেলে মোঃ মাসুদ রানা ও সরাইগাছী গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ তোফাজ্জল হোসেন।
র্যাব আরো জানায়, অভিযুক্ত মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ জহুরুল ইসলাম ও মোঃ তোফাজ্জল হোসেন নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার সরাইগাছি বাজারে একটি অফিস ভাড়া নিয়ে সাকো নামে একটি এনজিও খুলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মাসিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে জুডিশিয়াল ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে এফ ডি আর খুলে লাখ লাখ টাকা আদায় করতেন। শুরুতে অনেককে প্রথম দুই এক মাস মুনাফা প্রদান করলেও পরবর্তীতে মুনাফা প্রদান করা বন্ধ করে দেয়। ফলে গ্রাহকেরা তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করেন।
এদের মধ্যে মোঃ শাহাবুদ্দিন, আমিনুল ও আমানুল্লাহ সাকো এনজিওকে সাড়ে দশ লাখ টাকা প্রদান করে যে, প্রতি মাসে তাদের লাখে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এরপর কথিত সাকো এনজিও এর এমডি মূলহোতা মোঃ মাসুদ রানা ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ জহুরুল ইসলামের কাছে মুনাফা চাইতে গেলে তারা টাকা প্রদানে টালবাহানা শুরু করেন। পরে আসল টাকা ফেরত চাইলে আজ দেব কাল দেব বলে কালক্ষেপণ করে কিন্তু টাকা ফেরত দেয় না। এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলার সাপাহার ও পোরশার প্রায় আট দশ জন ভুক্তভোগী র্যাব ক্যাম্পে এসে তাদের সাথে সাকো এনজিও প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে র্যাব-৫, জয়পুরহাট ছায়া তদন্ত শুরু করেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি র্যাব-৫ জয়পুরহাট নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, সাকো এনজিওর এমডি মোঃ মাসুদ রানা ও মোঃ জহুরুল ইসলাম সবকিছু বিক্রি করে ১৬ ফেব্রুয়ারি পালিয়ে যাবে। পরে সরাইগাছি বাজারে গিয়ে হাতে নাতে জুডিশিয়াল ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প সহ সাকো এর এমডি মোঃ মাসুদ রানা, ও মাঠকর্মী মোঃ তোফাজ্জল হোসেন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়, এসময় নির্বাহী পরিচালক মোঃ জহুরুল ইসলাম র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভূক্তভোগীরা বাদী হয়ে নওগাঁর পোরশা থানায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলা দায়ের করলে বুধবার দুপুরে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।