খুলনা জেলাপ্রতিনিধি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেছেন বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজদের জায়গা হবে না,দেশের মানুষ সুখে থাকলে শেখ হাসিনা সুখী হয়,বঙ্গবন্ধু সৈনিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ বারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়েছে। আবারও সময় এসেছে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য।কোন অপশক্তি দেশকে যেন আর কখনো পিছিয়ে নিতে না পারে তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে হাসিনা সারা পৃথিবী থেকে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন কাজেই যতদিন হাসিনার হাতে দেশ-ততোদিন পথ হারাবেনা বাংলাদেশ।তিনি আজ দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসবকথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়ের পরিচালনায় ১৬ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার খুলনার দাকোপ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক মোহাম্মদ আলী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সেখ হারুন অর রশিদ। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অসাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পঞ্চনন মন্ডলের যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম এমপি। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য এডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি। কেন্দ্রীয় নেতা নির্মল কুমার চ্যাটার্জী প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী। বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট কাজী বাদশা মিয়া, সোহরাব আলী সানা ,অ্যাডভোকেট নিমাই চন্দ্র রায়, মোঃ শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ,সরদার আবু সালেহ, এস এম খালেদিন রশিদী সুকর্ণ, জুবায়ের আহমেদ খান জবা, এডভোকেট নব কুমার চক্রবর্তী, কাজী শামীম আহম্মেদ মোল্লা মোজাফফর হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, রবার্ট নিক্সন ঘোষ, আজগর বিশ্বাস তারা, ফারহানা হালিম, জামিল খান, শিউলি সরোয়ার, এস এম শফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী রায়হান ফরিদ, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফ, সাধারন সম্পাদক আজিজুর রহমান রাছেল, জেলা আওয়ামী মহিলালীগ নেত্রী হোসনেয়ারা চম্পা, নাজনীন নাহার কনা, শেখ রেজাউল করিম রেজা, কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নিশিত রন্জন মিস্ত্রী, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি- পারভেজ হাওলাদার, সাধারন সম্পাদকসহ দাকোপ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহোযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সম্মেলনের শুরুতে অতিথিব্ন্দ জাতীয় এবং দলিয় পতাকা উত্তলোন করেন পরে বেলুন ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, সকাল ১০টার দিকে সম্মেলন শুরু হয়,তার আগে পজেলার নয়টি ইউনিজয় ও একটি পৌরসভা থেকে রঙবেরঙের বেনার ফেজটুন ও টি-সার্ট পরে বর্নাঢ্য মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা সম্মেলন স্থানে জড়োহয়,দীর্ঘ দশ বছর পর ক্ষমতাসীন দলের এ সম্মেলনকে গিরে চালনা পৌর এলাকা উৎসবের শহরে পরিনত হয়।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে তিনজন সাধারন সম্পাদক পদে ছয়জন এর মধ্যে সভাপতি পদে সমোজতার ভিত্তিতে এবং সাধারন সম্পাদক পদে সমোজতা না হওয়ায় কাউন্সেলরদের সমর্থনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নির্বাচন করেন,সবশেষে প্রধান অতিথি আলহজ্জ শেখ আবুল হোসেনকে সভাপতি, সহ সভাপতি- শেখ যুবরাজ ও বিনয় কৃষ্ণ রায়কে সাধারন সম্পাদক, ১ নং সদস্য ননী গোপাল মন্ডল,২নং সদস্য মুনছুর আলী খান