
মো: আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।
নড়াইল এর লোহাগড়া উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোঃ জিননু রাইন এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ করেছেন খামারিরা এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন খামারিরা। উক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিকার চেয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারী কাশিপুর ইউনিয়ন এর ১৭ জন গরুর খামারী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন এর গরুর খামারীদের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি উপজেলার ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি উপজেলায় একটি স্মার্ট খামার এর বরাদ্দ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় লোহাগড়া উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা যাকে খামারটি বরাদ্দ দিয়েছেন, সে কোন গরুর খামারি না বলে জানান ওই ইউনিয়ন এর অভিযোগকারী গরুর খামারিরা।
গরুর খামারিরা আরও অভিযোগ করে বলেন, আমাদের খামার এ গরু অসুস্থ হলে ওই কর্মকর্তা কে ফোন দিলে তিনি নানান অজুহাত দেখান এবং যদিও তিনি আসেন তাকে মোটা অংকের টাকা ভিজিট দিতে হয়। তাকে ৩ হাজার ২৫০০ টাকার নিচে হাতে দিলে তিনি নেন না। তা ছাড়া আমরা পশু হাসপাতাল এ গেলে আমাদের কোন সরকারি ওষুধ দেওয়া হয় না। তাহলে কি সরকার ওই হাসপাতাল এ সরকারি ওষুধ বরাদ্দ দেন না ? এ ছাড়া আমরা শুনেছি যে ওষুধ বরাদ্দ পায়, তা নাকি বাইরে ওষুধ এর দোকান নাসির এর কাছে বিক্রি করে দেয়। আমরা এহেন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সহ বিচার দাবি করি। এ ঘটনায় কাশিপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মতিয়ার রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা যা করেছেন তা ঠিক করেন নাই ; অন্ততঃ আমার সংগে আলাপ করে কাজ টি করা উচিত ছিল। তা ছাড়া ওই কর্মকর্তা শুরু থেকেই আমাদের সাথে কোন আলোচনা না করে খেয়াল খুশি মতো কাজ করে যাচ্ছেন। ওই কর্মকর্তার নামে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এর দাবী জানাচ্ছি।
অভিযোগ এর বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ জিননু রাইন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, স্মার্ট খামার এর বরাদ্দ আমি বিধি মোতাবেক করা হয়েছে এবং সেটা নড়াইল জেলা অফিস থেকে করা হয়েছে। আর ভিজিট বাবদ যে টাকার কথা বলেছেন তা সঠিক নয় বলে তিনি জানান।