ঢাকারবিবার , ১৪ জুলাই ২০২৪

কুমিল্লা নগরীতে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

কুমিল্লা প্রতিনিধি
জুলাই ১৪, ২০২৪ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

কুমিল্লায় গ্যাস সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ৯০ শতাংশ এলাকায় গ্যাস নেই। গ্যাস সংকটে বাসায় রান্না করতে না পেরে হোটেল থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, নোটিশ কিংবা মাইকিং ছাড়াই গত দুদিন ধরে নগরীতে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

বুধবার (১০ জুলাই) বেলা পৌনে ১১টার দিকে হঠাৎ গ্যাসের চাপ কমে যায়। বিকেল ৩টার দিকে স্বাভাবিক হলেও বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল পৌনে ১০টার দিকে আবারো কমতে থাকে গ্যাসের চাপ। এ ছাড়া ফিলিং স্টেশনগুলোতেও গ্যাস মিলছে না। ফলে সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচল কমে গেছে।

এদিকে, ঠিক কখন গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে সে সম্পর্কে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। গ্যাস স্বাভাবিক না হওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় আছেন গ্রাহকরা।

বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি চাঁপাপুর কার্যালয়ের ইঞ্জিয়ারিং সার্ভিস বিভাগের ব্যবস্থাপক জানান, গ্যাস সরবরাহ লাইনে সমস্যা এবং মেরামত কাজের জন্য হঠাৎ করে কুমিল্লা নগরীসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে।

বিজিডিসিএল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে কুমিল্লায় তীব্র গ্যাস সংকট রয়েছে। এ নিয়ে গ্রাহকরা এমনিতেই ক্ষুব্ধ। তার ওপর বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দিনব্যাপী একদমই গ্যাস না থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে।

বিজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মর্তুজা রহমান খান বলেন, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে পেট্রোবাংলা থেকে ২৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। ওই গ্যাসের মধ্যে ১৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসবিদ্যুৎ খাতে ও ৯৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস শিল্পকারখানা ও গৃহস্থালি খাতে সরবরাহ করা হয়।

নগরের দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা শারমিন বলেন, গ্যাস সরবরাহ কোনো কারণে বন্ধ হলে, সেটা আগে থেকে জানানো উচিত। গ্রাহক তাহলে নিজেদের মতো ব্যবস্থা করতে পারে। হঠাৎ গ্যাস চলে যাওয়ায় রান্না নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। চুলায় গ্যাস না থাকার কারণে মাটির চুলা বানিয়ে তাতে রান্না করি। কখনো সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করি। এভাবে প্রতিনিয়ত খরচ বাড়ছে। সামনে গ্যাসের দামও বাড়বে বলে শুনেছি।

মরিয়াম বেগম নামের এক গৃহিণী বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে জানলাম গ্যাস থাকবে না। পরে চুলা জ্বালিয়ে দেখি গ্যাস কম। আগুনের যে তাপ রয়েছে তাতে একটি ডিম ভাজি করতে অন্তত ২০ মিনিট সময় লাগবে। ঘরে শিশুসন্তান থাকায় খুবই ভোগান্তিতে আছি।’

বিজিডিসিএল সূত্রে জানা গেছে, বিজিডিসিএল কুমিল্লার আওতাধীন বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার মধ্যে ৪ লাখ ৮৮হাজার ২৮টি গৃহস্থালি গ্যাসের সংযোগ আছে। এখানে ৯১টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন, ৫৭৫টি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প, ১ হাজার ৫৬৩টি হোটেল-রেস্তোরাঁ, ৮১টি ক্যাপটিভ পাওয়ার, ১৮৪টি শিল্পকারখানা, একটি সার কারখানা ও ১৪টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে