ঢাকাশনিবার , ৮ জুলাই ২০২৩

খানসামায় সাংবাদিক দম্পতির মিথ্যা পোস্টের প্রতিবাদে সাংবাদিকের সংবাদ সম্মেলন,২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

খানসামা (দিনাজপুর)প্রতিনিধি
জুলাই ৮, ২০২৩ ৬:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

 

খানসামা (দিনাজপুর)প্রতিনিধি

; দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সাংবাদিক দম্পতি তাজ চৌধুরী ও নুপুর নাহার চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন পোস্ট করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে খানসামা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের খানসামা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক উজ্জ্বল রায়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন- কথিত সাংবাদিক ও ঠিকাদার তাজ ফারাজুল ইসলাম চৌধুরী (তাজ চৌধুরী) ও তার স্ত্রী চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ গত ১ জুলাই শনিবার দিবাগত রাতে আমার নামে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজসহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচার ওখানসামার কথিত ফেইক আইডি ‘হক প্রকাশ’ পরিচালক উল্লেখ করে তাদের নিজ ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করেন এবং সেই পোস্টের এক ব্যক্তির কমেন্টে নুপুর নাহার তাজ উত্তর দিয়েছেন যে, তাদের কাছে নাকি ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছি আমি। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এবং যার কোন প্রমাণ তাদের কাছে নেই। তারা পরিকল্পিতভাবে আমাকে সামাজিক হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য মাত্র। যাহা মান সম্মান নষ্ট করার লক্ষে পোস্টগুলো করেছেন।

তিনি আরো বলেন, কথিত এই সাংবাদিক দম্পতি সাংবাদিক নামকে পুজিঁ করে বিভিন্ন কৌশলে ঠিকাদারী কাজ হাতিয়ে নিয়ে ঠিকাদারী করেন। সেই মর্মে গত গত বছরের ০৪ সেপ্টেম্বর আমি খানসামা উপজেলা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছিলাম। ভোটে পরাজয়ের কারণে তাদের সাথে আমার মতবিরোধ দেখা দেয়। সেই মতবিরোধকে কেন্দ্র করে আমাকে ওই কমিটিতে নিয়ম না মেনে সদস্য পদে রাখেন এবং তাদের সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি ঘটে সেই সাথে আমার ফেইসবুক আইডি থেকে তাদের ব্লক করে দেই। তখন থেকে এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ ও কথোপকথন হয়নি।
এ ছাড়াও এ বছরের ২৩ জানুয়ারী উপজেলার পাকেরহাট গুন্দুশাহপাড়ার গ্রামীণ রাস্তা হিরমবনবন্ট কাজ পান এই দম্পতি। সেই কাজে বালু না দিয়ে কাজ শেষ করার অভিযোগ প্রদান করি উপজেলার ইউএনও এবং পিআইও কর্মকর্তা এবং খানসামা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের। অভিযোগ পাওয়ার পরে সাংবাদিকগণ ওই রাস্তার তথ্য নিতে গেলে তাদের দেখতে পেয়ে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায়। এরপরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ রাস্তাটির কাজ যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য উদঘাটন করে এবং দুর্নীতির প্রমান পাওয়ায় সেই সাংবাদিকগণ সংবাদ প্রকাশ করে। সেই মোতাবেক পিআইও এর নির্দেশনায় রাস্তাটির পুনরায় নতুন ভাবে কাজ করার জন্য সম্পূর্ন বিছানো ইট তুলে ফেলে বালু প্রদান করে কাজ করে। যার নিউজও ওই সাংবাদিকগন প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ গত ১৫ জুন উপজেলা পরিষদের ভিতরে একটি রাস্তা নতুন ভাবে কাজ করার জন্য সম্পূর্ন বিছানো ইট তুলে ফেলে রাখা হয় এবং সেই ইট ট্রলিতে বোঝাই করে ওই ঠিকাদার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি কালে আমি দেখতে পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তাহার নির্দেশনায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী ঘটনা স্থলে এসে ট্রলি থেকে ইট নামিয়ে নেয়। পরে ওই ঠিকাদাররা আমি অভিযোগ করেছি বলে জানতে পেরে উপজেলা পরিষদে এসে আমার অনুপস্থিতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে উপজেলা পরিষদ ত্যাগ করে। আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি এবং আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সকল প্রমানাদি উপস্থাপন করতে না পারলে তাদের ফেইসবুক আইডি থেকে মিথ্যা পোষ্টগুলো তুলে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে পোষ্ট করতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হব।

তিনি আরও বলেন,একজন সাংবাদিকের কাজ সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে নিউজ প্রকাশ করা।সদা সত্য পথে থেকে দূর্ণীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা।সাংবাদিক হয়ে অপ-সাংবাদিকতা করা,ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ করা,সাংবাদিকদের নিয়ে করুচিপূর্ণ মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা ও অপ-সাংবাদিকতায় সমাজের মান ক্ষুন্ন করা নয়।তারা স্বামী স্ত্রী এরকম অপরাধ করেছে।তারা অপসাংবাদিকতার পরিচয় দিয়েছে। এজন্য তাদেরকে সংগঠন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক এবং সাংবাদিকতা থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।