মশিয়ার রহমান

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বাড়ির আঙিনা, কলাবাগান, বাড়ির ছাদ, অনাবাদি ও পতিত জমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বস্তায় মাটি ভরে কিংবা টবে আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। তা দেখে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে বস্তায় আদা চাষের।

জানা যায়, অল্প পরিচর্যা আর কম খরচে বস্তায় আদা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক পরিবার। এছাড়া আদা চাষে সেচ, কীটনাশক ও সার প্রয়োগসহ অন্যান্য খরচ কম হয় বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি আদার মূল্য ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। খাবারের স্বাদ বাড়াতে আদার ব্যবহার করে থাকেন রাঁধুনীরা। এছাড়া বিভিন্ন রোগে ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয় আদা। তাই বাজারে আদার চাহিদাও অনেক বেশি।উপজেলার গোলমুন্ডা  ইউনিয়নের ভাবনচুর  এলাকার কৃষক শাহআলম  জানান,পতিত জমিতে ৩শত বস্তায় আদা চাষ করেছেন। বস্তা প্রতি উৎপাদন ব্যয় হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। প্রতিটি বস্তায় দুই থেকে তিন কেজি আদার উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তিনি। তিনি আরও জানান, ইউটিউবে বস্তায় আদা চাষের ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাড়ির পাশে পতিত জমিতে বস্তায় মাটি ভরে আদা চাষ শুরু করেছেন। তার চাষাবাদ দেখে আশেপাশের অনেকের মাঝেই আদা চাষে আগ্রহ বেড়েছে।শৌলমারী ইউনিয়নের  মিজানুর রহমান  ২০০টি বস্তায় চাষ করছেন আদার। গোলনা ইউনিয়নের আসাদুল ইসলাম জানান বাড়ির আঙিনায় গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে ১০টি বস্তায় আদা চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। তাই এ বছর ৫০ টি বস্তায় আদা চাষ করছেন। তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেকেই বস্তায় আদা চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় কয়েকগুণ লাভের আশা করছেন তিনি।

জলঢাকা  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহম্মেদ   জানান, বস্তায় আদা চাষ করলে বাড়তি ফসলি জমির প্রয়োজন হয় না। বস্তার মাটি নিয়ন্ত্রন করা সহজ হয়। আমরা কৃষককে আদা চাষে উদ্ধুদ্ধ করছি এবং সহায়তা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে বস্তায় আদার চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কৃষক বাড়তি আয়ও করতে পারে। এই উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *