আলী রিয়াছাত
– জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জুলাই বিপ্লবে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ইসলামি ছাত্র শিবির জাবি এবং জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচি শেষে অংশগ্রহণকারীরা রেজিস্ট্রার ভবনের দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন।
জুলাই বিপ্লবে আহত এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, “হামলার সময় আমি গুরুতর আহত হই। এখনো শরীরে স্প্রিন্টারের টুকরো বহন করছি, যা অপারেশন করেও পুরোপুরি সরানো সম্ভব হয়নি। চার মাস পার হলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা ভেবেছিলাম, ৫ আগস্টের পর হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু এখনো তারা ক্যাম্পাসে মুক্তভাবে চলাফেরা করছে, এমনকি ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।”
ইসলামি ছাত্র শিবিরের জাবি শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পরপরই প্রশাসনের উচিত ছিল দ্রুততম সময়ে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু প্রশাসনের অবহেলার কারণে তারা এখনো ক্যাম্পাসে সক্রিয়। আমরা চাই, হামলাকারী ও মদদদাতা শিক্ষকদেরও তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হোক। বিচার না হলে আগামীতে তারা আবারও গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের ওপর হামলা চালাতে পারে।”
গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, “চার মাসেও প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে তদন্ত কমিটি কাজ শেষ করতে পারেনি। সাত দিনের মধ্যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে মামলা না করলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেব। হামলাকারীদের সঙ্গে একই ক্লাসে বসে আমরা পড়াশোনা করতে পারব না। বিচার না হলে প্রশাসনকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।”