আলী রিয়াছাত
জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা এবং উপাচার্য কোটা বাতিল করা হয়েছে। আজ (২৬ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নতুন ভর্তি নীতিমালায় ১০ ইউনিটের পরিবর্তে ৭ ইউনিটে পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একইসঙ্গে আবেদন ফি কমানো হয়েছে। ইউনিটভিত্তিক আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে নিম্নরূপ:
‘এ’ ইউনিট (গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ ও আইআইটি): ৭০০ টাকা
‘বি’ ইউনিট (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ): ৭০০ টাকা
‘সি’ ইউনিট (কলা ও মানবিকী অনুষদ, আইন অনুষদ এবং তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট): ৭০০ টাকা
‘সি-১’ ইউনিট (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, চারুকলা বিভাগ): ৫০০ টাকা
‘ডি’ ইউনিট (জীববিজ্ঞান অনুষদ): ৭০০ টাকা
‘ই’ ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ): ৬০০ টাকা
আইবিএ-জেইউ পৃথক ইউনিট: ৫০০ টাকা
শিফটভিত্তিক আসন বণ্টন ও মেধা তালিকা প্রস্তুত
একাধিক শিফটে পরীক্ষা হলে বরাদ্দকৃত মোট আসন সমানভাবে ভাগ করে প্রতিটি শিফটে আসন নির্ধারণ করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জিপিএ যথাক্রমে ১.৫ ও ২.৫ দ্বারা গুণ করে লিখিত পরীক্ষার নম্বরের সাথে যোগ করে মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
পাস নম্বর বৃদ্ধি এবং পোষ্য শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসন
ভর্তি পরীক্ষার পাশ নম্বর ৩৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। পোষ্য শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি বিভাগে সর্বোচ্চ ৪টি আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
জাবি প্রশাসন মনে করছে, এসব পরিবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী নির্বাচনে সহায়ক হবে।