মোঃ আনোয়ার হোসেন
ডিমলা নীলফামারী
নীলফামারীর ডিমলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ
বুধবার সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামী কয়েক দিন এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়।
ডিমলার অটোভ্যান চালক ইয়াছিন আলী ও সহিদুল ইসলাম জানায় এই ঠান্ডাৎ হামেরা ভ্যান চালেবার পাচ্ছি না, বুড়া মাও বাপের কম্বল কিনিবার পাচ্ছো না।
উপজেলা কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, তিস্তা নদীবেষ্টিত এই উপজেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা নিম্নমুখী। আজ বুধবার তাপমাত্রা আরও কমে এসেছে। সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখানে রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। দৃষ্টিসীমা রয়েছে ১০০ মিটারের নিচে। এতে দিনে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে তিস্তার হিমেল হাওয়ার কারণে শীত আরও বাড়ছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া জানিয়েছেন, সরকারিভাবে প্রাপ্ত কম্বল আমরা ইতিমধ্যে দুঃস্থ, গরীব ও বৃদ্ধ লোকজনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে এবং আরো চাহিদা দেওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন শীতবাহিত কোন রোগে কেউ আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা ব্যবস্হা গ্রহনের কথা বলা হয়েছে।
হিমেল হাওয়া, কনকনে শীত ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তবে, বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। অন্যদিকে, প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত জ্বর, সর্দি ও কাশির সমস্যা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
ডা. রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অভিভাবকেরা হাসপাতালে বেশি আসছেন। এ অবস্থায় শিশুদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখা ও গরম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।