মোঃ সিয়াম হোসেন পাটওয়ারী
নিজস্ব প্রতিনিধি।
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ সিজন ২”-এর ঢাকা ডিভিশনের অ্যাম্বাসাডর মিটআপ” সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই মিটআপটি ছিল একটি স্মরণীয় মুহূর্ত, যেখানে ৪০ টির ও অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৩০০ জন অ্যাম্বাসাডর ও অনান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এটি শুধুমাত্র একটি মিলনমেলা ছিল না, বরং একটি শক্তিশালী দৃষ্টি উপস্থাপন এবং উদ্ভাবন, প্রযুক্তি শিক্ষার বিস্তার এবং নেতৃত্বের বিকাশের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য প্রেরণা জোগানোর সুযোগ ছিল।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। এরপর, সেন্ট্রাল টিম লিডার মো: রেদওয়ানুর রহমান একটি প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন, যেখানে অ্যাম্বাসাডররা ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ড ব্যবহার এবং পার্টিসিপেন্টদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত বিস্তারিত প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
অনুষ্ঠানে মূল আলোচনার বিষয় ছিল প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের উন্নতি, ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি এবং সঠিক প্রযুক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির গুরুত্ব।
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের ফাউন্ডার ও সিইও মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান তাঁর বক্তব্যে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি অ্যাম্বাসাডরদের গুরুত্ব বুঝিয়ে দেন এবং বলেন, “তথ্য ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে আমরা বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।”
সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও হেড অফ স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার মোঃ আব্দুর রহমান নিপু শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার শেখানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, “যত বেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে, ততই উন্নত জীবন লাভ করতে পারবে তারা।”
চিফ এডুকেটর ওয়াহিদ নিউটন শিক্ষাক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণার গুরুত্ব এবং তাদের কার্যকর প্রয়োগ নিয়ে কথা বলেন, যা ছাত্রদের বাস্তব জীবনে আরো কার্যকর হতে সাহায্য করবে।
প্রজেক্ট ডিরেক্টর এম আব্দুল্লাহ প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব এবং কীভাবে সঠিক বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এই উদ্যোগকে সফল করতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দেশে একটি নতুন প্রযুক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরী করতে পারব।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের ট্রাস্টি বডি মেম্বার গোলাম সারওয়ার এবং তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান মোঃ শাহিনুর ইসলাম, যারা তাদের মূল্যবান বক্তব্য দিয়ে অ্যাম্বাসাডরদের অনুপ্রাণিত করেন।
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ সবসময় তার অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী পরিবেশ তৈরি করার জন্য কাজ করে আসছে, এবং তাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা নিজেদেরকে দেশের উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়।
অনুষ্ঠানে পার্টনার হিসেবে ছিলেন ইভেন্ট সিটি, ত্রিয়ো ভিসুয়ালস এবং নেক্সফ্লাই । বিশেষ করে স্কলার পার্টনার *নেক্সফ্লাই* ঘোষণা করেন যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরির চ্যাম্পিয়ন দুই জনকে সিংগাপুর অথবা মালয়েশিয়া ভ্রমণ টিকিট সহ ২ রাত ৩ দিন এর শিক্ষা সফর উপহার হিসেবে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে সংগীত শিল্পী জাহিদ অন্তুর প্রাণবন্ত পরিবেশনার মাধ্যমে, যা উপস্থিতদের মনে নতুন প্রত্যয়ের সঞ্চার করে।
“আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ” প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা এবং দক্ষ জাতি গঠনের যে অনন্য ভূমিকা পালন করছে, তা এই অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে আরো শক্তিশালী হয়েছে। এই মিটআপটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং নেতৃত্বের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হয়েছে, এবং এতে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দায়িত্ব আরো শক্তিশালীভাবে পালন করার জন্য প্রস্তুত। সামনের দিনে সকল বিভাগীয় পর্যায়ে এই ধরণের মিটআপ অনুষ্ঠিত হবে বলে আয়োজক রা আশা ব্যক্ত করেন।
আইসিটি শিক্ষাকে আরো বেশি জনপ্রিয় ও যুগোপযোগী করার জন্য এরই মধ্যে প্রায় ২৮০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ এর তথ্য ও প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন অনুপ্রেরণামূলক প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়েছে।