স্টাফ রিপোর্টার।

নড়াইল জেলায় এসেছে এক প্রতারক চক্র এরা মানুষকে লোভ দেখিয়ে করছেন সর্বশান্ত।

নড়াইল জেলার লোহাগড়ায় দেখা মিলেছে এক প্রতারক চক্রের এই চক্রের সাথে জড়িত রয়েছেন স্থানীয় কিছু লোকজন, অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছেন তাদের স্বীকারোক্তি এবং মোবাইল ফোনে থাকা প্রতারণার বিভিন্ন কৌশলের ভিডিও এই চক্রটির মূল হোতা কুষ্টিয়া সদরের মিনা বাড়ি গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, এবং বিভিন্ন নাম পরিচয়কারী পান্না, ওরফে জসিম, তার পরিচয় জানা গেছে বরিশাল অথবা পটুয়াখালীতে বাড়ি,

এদের দেখা মিলেছে লোহাগড়া পৌর এলাকার লক্ষীপাশা মর্ডান আবাসিক হোটেলে, মর্ডান আবাসিক হোটেল সূত্রে জানা যায়, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে মর্ডান আবাসিক হোটেলে তারা রুম ভাড়া নিয়েছেন। এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত ১ মাষের বেশি সময় অবস্থান করছেন কিন্তু ওই প্রথম দিনে খাতায় নাম লিপিবদ্ধ করলেও বাকি ১ মাষের উর্ধ্বে পর্যন্ত তাদের নাম খাতায় লিপিবদ্ধ করেন নাই হোটেল কর্তৃপক্ষ।

এবং হোটেল মালিক নূর ইসলাম কে জিজ্ঞেস করা হলো খাতায় নাম লিপিবদ্ধ কেন করা হয়নি? তিনি বলেন এলাকার একজন লোক এসে ওনাকে রেখে গেছেন তাই ওই লোকের নাম আর খাতায় লিপিবদ্ধ করি নাই।

স্থানীয় কয়েকজন লোকের সাথে কথা বললে তাদের সন্দেহ হলে তারা বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান এ ঘটনাটি সাংবাদিকদের অনুসন্ধান কালে তার কাজকর্মের বিষয় জানতে চাইলে একপর্যায়ে জিয়াউর রহমান ম্যাগনেট ব্যবসা, পয়সার ব্যবসা, কড়ির ব্যবসা,এবং নামধারী কিছু বাশঁ ব্যবসার কথা স্বীকার করেন।

এবং সাংবাদিকদের মোটা আঙ্কের অর্থ দেওয়ার কথা বলে ম্যানেজের চেষ্টা করে। এবং নিউজ টা করার জন্য অনুরোধ করেন।

এ সময় ওই মর্ডান আবাসিক হোটেলের পাশের কয়েকজন দোকানদার বলেন ওদের কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের স্যুট প্যান্ট পরা লোকজন যাতায়াত করতে দেখেছি। ঘটনাটি আমাদের সন্দেহ হচ্ছে এবং খাবার হোটেলে তারা দামি দামি খাবারও খাচ্ছেন, কি এমন কাজ করতে এখানে এসেছেন তারা ? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন ,এরা ম্যাগনেট ব্যবসার নামে প্রতারণা সহ নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত আছে বলে আমাদের ধারণা।

এ ঘটনাটি একটু জানাজানি হলেই মর্ডান আবাসিক হোটেল থেকে তারা সরে পড়েন, একটি বিশেষ সূত্রে জানা যায় তারা নড়াইল জেলা শহরের কোন এক হোটেলে আছেন।

এসকল হোটেলে প্রশাসনের কঠর নজরদারীর জন্য দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের মানুষেরা তাহলে হয়তো অপরাধ কিছুটা কমে আসবেন বলে মন্তব্য তাদের।

মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।

মোবাইল ঃ০১৯২০২৮১৭৮৭ /০১৭০৫১৯৩০৩০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *