উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ থেকেঃ
নওগাঁর মহাদেবপুরে সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে অনিহা দেখাচ্ছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোমরেজ আলী। বিভিন্ন প্রকল্পের মূল্যায়ন বিষয়ক সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য তিনি সাংবাদিকদের দেননা। এমনকি সরকারি নিয়ম মেনে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়া হলেও তিনি তা দেননি। দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার মহাদেবপুর প্রতিনিধি সোহেল রানা গত ২৪ এপ্রিল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে খরিপ-১ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এই উপজেলায় কতজন কৃষকের মাঝে আউশ বীজ, রাসায়নিক সার ও পাটের বীজ বিতরণ করা হয়েছে তা জানতে চান। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তা তা দিতে অস্বীকার করেন।
সোহেল রানা ওই দিনই সুবিধাভোগী কৃষকের নামের তালিকাসহ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর চেয়ে তথ্য অধিকার আইনের তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত বিধিমালার বিধি ৩ অনুযায়ী নির্ধারিত ‘ক’ ফরমে তথ্যের ফটোকপি বা ইমেইলে পাওয়ার জন্য একটি লিখিত আবেদন করেন। বিধি অনুযায়ী ২০ দিনের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করার বিধান রয়েছে। অথবা কি কারণে তথ্য দেয়া যাবেনা তাও জানাতে হবে। কিন্তু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এর কোনটিই না করে অন্যভাবে আপস করার চেষ্টা করেন বলে সোহেল রানা জানান। অবশেষে সোমবার (১৫ মে) সোহেল রানা বিধি অনুযায়ী এব্যাপারে তথ্য অধিকার আইনের বিধি ৬ অনুযায়ী নির্ধারিত ‘গ’ ফরমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালকের নিকট ওই তথ্য প্রাপ্তির জন্য আপিল আবেদন করেন।
সোহেল রানা জানান, প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য বরাদ্দ করা প্রণোদনা বিতরণের জন্য তালিকা তৈরিতে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিনি যেসব চাষিদের মধ্যে প্রণোদনা বিতরণ করা হয় তাদের তালিকা চেয়েছেন। জানতে চাইলে সাংবাদিকদের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোমরেজ আলী জানান, ক ফরমে আবেদনের তথ্য সরবরাহের জন্য তৈরি করা আছে।