আমির হামজা, জেলা প্রতিনিধি, শরিয়তপুর
শরিয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী জাকির হোসেন দুলালের বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ। বহিষ্কৃতরা হলেন—গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান দেওয়ান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল।
বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ বর্ধিত সভায় এই বহিষ্কার আদেশ পড়ে শোনান শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু অনল কুমার দে। এ বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, সাধারণ সম্পাদক বাবু অনল কুমার দে, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক পিন্টু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক ঢালী। গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান শিকদার।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু অনল কুমার দে জানান, দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেওয়ান মো. শাহজাহান ও আব্দুল আউয়াল সরদারের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। তাদের দুজনের সদস্যপদ বাতিলের কপির অনুলিপি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পাঠানো হবে। বহিষ্কারের কারণ জানতে চাইলে, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. শাহজাহান দেওয়ান বলেন, শুনেছি আমি নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় দল আমাকে প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করেছে। আমি লিখিত আদেশ এখনো পাইনি। এতে আমার আফসোস নেই। “বহিষ্কার করুক আর যাই করুক, খেলা হবে মাঠে।” কারণ আমি ১৯৭২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত; কিন্তু আমার যোগ্যতা থাকা স্বত্বেও দল চেয়েছে আমি যেন মনোনয়ন না পাই। বহিষ্কার করেছে তাতে আমার একটুও আফসোস নেই। আমি আওয়ামী লীগ করবোই, আর এলাকায় আমি জনপ্রিয়, জনগন আমাকে চায় তাই আমি নির্বাচন করবো এবং মেয়র নির্বাচিত হবো। অন্যদিকে বহিষ্ককৃত গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল সরদার বলেন, আমি গত ৩৫ বছর যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। আমাকে বহিষ্কার করেছে, এতে শুধু আমার দলীয় পদ চলে গেছে। তাতে কী? আমার রক্ত আওয়ামী লীগের। আমার পরিবার আওয়ামী লীগ পরিবার।
তিনি আরও বলেন, এবার নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। ১৯৮৭ সাল থেকে আমি আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত। ইনশাআল্লাহ জনগন চেয়েছে আমি মেয়র নির্বাচিত হবোই। আগামী ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল তাদের দলীয় প্রতীকে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপির প্রার্থী থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছে।