উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃ
নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত। দিনকে দিন শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। গত এক সপ্তাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ থেকে ১০ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। চলতি শীত মৌসুমে এটিই নওগাঁর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে বিভিন্ন এলাকা। এর সঙ্গে বয়ে চলা উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘনকুয়াশার কারণে বিভিন্ন সড়কে ধীরগতিতে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। কিছু কিছু যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে ঘন কুয়াশার চাদরে প্রকৃতি ঢাকা পড়লেও জীবিকার তাগিদে সাত সকালেই বের হন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা।
অন্যদিকে, তীব্র শীত আর কুয়াশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া সরকার পাড়া, চৌমাশিয়া আদিবাসী পাড়া বাগধানা মাইবা শরিফপুর খোদ্দনারায়নপুর লক্ষ্মীপুর ভান্ডারপুরসহ শিশু ও বৃদ্ধসহ সকল প্রতিনিয়তই সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট জ্বর নিউমোনিয়া ডায়রিয়া আমাশয় রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দিন মজুর নৃগোষ্ঠীর আদিবাসী শুধু পাহান বলেন সকালে উঠে কাজে এসে দেখা যায় ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে পেটের দায়ে কাজ করছি আর সরকারী শীতের কম্বল বিতরণ করেছেন সরকার,কিন্তু ঐ কম্বল কাদের প্রাপ্য কে পাচ্ছেন দেখার কেউ নেই।সদর উপজেলা পাহাড়পুর এলাকায় কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, ভোর থেকে কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছে না। কোনো কাজ করা যাচ্ছে না।গবাদিপশু নিয়ে বিপদে আছি।আরেক কৃষক আইয়ুব আলী বলেন, ঘন কুয়াশা আর শীতে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। গরীব মানুষ আমরা, কোনো কাজ করতে পারছি না। হাত-পা শিটকা লেগে যাচ্ছে। জমিতে ঠিকমতো ধানও লাগাতে পারছি না।নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উচ্চপর্যবেক্ষক হামিদুল হক বলেন, আজ সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে নওগাঁর ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর আগে ছিল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। এছাড়াও ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয় বলে তিনি জানান