নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
জলঢাকায় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির কমিটি পৃথক পৃথক ভাবে গঠন করা হয়েছে।দেশ পূর্ণগঠনের অংশ হিসেবে নতুন পুরাতনের সমন্বয়ে ২৮শে অক্টোবর সোমবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে একটি কমিটি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জলঢাকা উপজেলা শাখার আমীর মোখলেছুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জলঢাকা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ সবুজ। উপজেলা জামায়াত নেতাদের স্ব-ঘোষিত জলঢাকা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির নতুন কমিটিতে ৫জন উপদেষ্টা মন্ডলী রেখে আবু বক্কর সিদ্দীক সরকারকে সভাপতি ও এমদাদুল হক সরকারকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।উক্ত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হলেন আমজাদ হোসেন সরকার, সহ-সভাপতি নুর আলম জিকু সরকার, সিবেন চন্দ্র রায় সরকার, আব্দুল কুদ্দুস, আব্বাস আলী সরকার। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম সরকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল সম্রাট সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোনাব্বুল হক সরকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবীব সরকার, দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সহঃ দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার, আইন বিষয়ক সম্পাদক পুলিন চন্দ্র রায়, প্রচার সম্পাদক ফনি ভূষণ রায় সরকার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মফিজার রহমান সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক অহিদুজ্জামান দুলাল সরকার ও কার্যকারী সদস্য মোকলেছার রহমান, আব্দুল ওহাব সরকার, একরামুল হক সরকার, জবানুর রহমান সরকার, সুশান্ত কুমার রায়, আসাদুজ্জামান মিঠু সরকার ও সুজন ইসলাম সরকার প্রমুখ।
এছাড়া উপদেষ্টা মন্ডলী হিসাবে রয়েছেন মীরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াম্মার আল হাসান, প্রভাষক উমর ফারুক, সহকারী শিক্ষক মাওলানা মোজ্জাম্মেল হক, অধ্যাপক মমিনুর রহমান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হামিমুর রহমান হামীম।
জলঢাকা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির কমিটি ঘোষণা কালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জলঢাকা উপজেলা শাখার আমীর মোখলেছুর রহমান বলেন, দেশ সংস্কারের অংশ হিসেবে জলঢাকা উপজেলার সাধারণ মানুষের দাবী যে, জলঢাকা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দূর্নীতির আতুর ঘরে পরিনত হয়েছে সেটা থেকে মুক্তি। এরই ধারাবাহিকতায় জলঢাকা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দূর্নীতি মুক্ত কল্পে নতুন পুরাতনের সমন্বয়ে দলিল লেখক সমিতিকে পূর্ণগঠন করা হলো। আশা রাখি এ কমিটি আগামী সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে মোক্ষম ভূমিকা রাখবে।
অন্যদিকে উপরোক্ত কমিটি ঘোষণার ঘন্টা খানেক পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সমর্থকদের সমন্বয়ে জলঢাকা সাব-রেজিস্ট্রার দলিল লেখক সমিতির কমিটির হাতে লেখা একটি কাগজ ভারপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তার নিকট জমা পরে। উক্ত কমিটিতে ৫জন উপদেষ্টা মন্ডলী রেখে আমজাদ হোসেন সরকারকে সভাপতি ও লুৎফুল সম্রাটকে সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সহ-সভাপতি হলেন, নজরুল ইসলাম সরকার, আব্দুল লতিফ সরকার, রেয়াজুল ইসলাম সরকার, সিবেল চন্দ্র রায় সরকার। সহ-সাধারণ সম্পাদক মোনাব্বেরুল হক সরকার, গোলাম রব্বানী সরকার ও আসাদুজ্জামান মিঠু সরকার। কোষাধ্যক্ষ নুর আলম জিকু সরকার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মফিজার রহমান সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক সহিদুল ইসলাম সরকার, প্রচার সম্পাদক ফনি ভূষণ চন্দ্র রায় সরকার, দপ্তর সম্পাদক একরামুল হক সরকার, সাধারণ সদস্য হাফিজুল ইসলাম, মোখলেছার রহমান সরকার, জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও মেনহাজুর রহমান মুনাফ সরকার প্রমুখ। এছাড়া উপদেষ্টা মন্ডলী হিসাবে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শাহ্ জাহান কবির লেলিন, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, রউফুল ইসলাম বাবু ও বখতিয়ার রানা হিলু। অন্যদিকে পৃথক পৃথক ভাবে পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে জলঢাকা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস প্রাঙ্গণে মানুষের ভির লক্ষ করা গেছে।
এ বিষয়ে জলঢাকা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ সবুজ গণমাধ্যমকে জানান, দলিল লেখক সমিতি হচ্ছে পেশাজীবি দলিল লেখকদের একটি সংগঠন। এ সংগঠন জনকল্যাণ মুলক কর্মপরিল্পনা, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ জনসাধারণের হয়রানি দুর্নীতি ও সঠিক উদ্দেশ্য গুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলিল লেখক সমিতি করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে এ সংগঠন। তাই সাব-রেজিস্ট্রার অফিস কর্তৃক অনুমোদন নেওয়ার কোন প্রয়োজন হয় না। জামায়াত ও বিএনপি সমর্থকদের সমন্বয়ে পৃথক দুটি কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এ কমিটি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কোন দ্বায়বদ্ধতা নেই। দশটি কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটলেও সেটি দলিল লেখক সরকারদের নিজস্ব ব্যাপার।