স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রবাসীদের অর্থ দিয়ে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দল মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন
প্রতিষ্ঠা করা হয়, প্রবাসীদের অর্থায়নে এই সংগঠনটির প্রতিটি ভালো কাজ করা হয়েছে।
১৫ নভেম্বর রাত ৯ টা পরে চাঁদপুর হাইমচরের গরিবের বন্ধু নামে আলোকিত সংগঠন মেঘনা একতা যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থার বাংলা বাজার অবস্থিত প্রধান কার্যালয় রাতের অন্ধকারে ভাঙচুর লুট করে টিভি,চেয়ার, টেবিল, খেলার সামগ্রী, বিভিন্ন সংগঠনের সামাজিকভাবে উপহার পাওয়া ক্রেস,সংগঠনের নথিপত্র,শীত বস্ত্র বিতরণের জন্য কালেকশন করা নগদ অর্থ সহ সবকিছু নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা স্পেন প্রবাসী হোসাইন মিয়া ভুট্টো ও প্রতিষ্ঠাতা দুবাই প্রবাসী কে এম ফরিদ হোসেন হৃদয় দুজনের সাথে যোগাযোগ হলে তারা জানান
সংগঠনের কারো সাথে রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতেই পারে সেটা ব্যক্তিগত এই সংগঠনে কখনো কোন রাজনৈতিক প্রভাব বা রাজনৈতিক কোন বিষয় সংগঠনের আনা হয়নি সবসময় সংগঠনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত সংগঠন হিসাবে রাখা হয়েছে তারপরও এই সংগঠনের কার্যালয় পেল না!!
মেঘনা একতা যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থা ২০২০ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এই ৪বছর ৯মাস সংগঠনের পক্ষ থেকে মসজিদ মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান দেওয়া, কাঁচা ও পাকা রাস্তাঘাট মেরামত করা। সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া। অসহায় রোগীদের আর্থিক সহযোগিতা করা, বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা। করোনা কালীন সময়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন লিফলেট, মাক্স বিতরণ করা ও করোনাকালীন সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে ফ্রি অক্সিজেন সেবা দেওয়া এবং করোনাকালীন সময় অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া। রমজানে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা, কুরবানি ঈদে সংগঠনের পক্ষ থেকে গরু কুরবানি দিয়ে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে মাংস পৌঁছে দেওয়া। প্রতি ঈদে এতিম দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ করা, গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা। গরিব অসহায় মেয়েদের বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে বিয়ে সম্পূর্ণ করা, গরিব পরিবারের মেয়েদের বিয়ের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করা সহ সামাজিক প্রতিটা ভালো কাজের মাধ্যমে এই সংগঠনটি পরিচালনা করা হচ্ছে। গরিব-দুঃখী দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে থাকা এবং সামাজিক প্রতিটি ভালো কাজের মধ্য দিয়ে এই ৪বছর ৯মাসে মেঘনা একতা যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থা পক্ষ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় করা হয়।
রাতের অন্ধকারে এই সামাজিক সংগঠনের প্রধান কার্যালয় ভাঙচুর লুট করার প্রতিবাদে এলাকাবাসী নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।