ঢাকামঙ্গলবার , ২৪ অক্টোবর ২০২৩

সোনালী ধানে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন জলঢাকার কৃষকরা

মশিয়ার রহমান
অক্টোবর ২৪, ২০২৩ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!
   
                       

মশিয়ার রহমান নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর জলঢাকায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এমন সোনালী ধানে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। এই ধান দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এবার ধানের ভালো ফলন হওয়ায় মনের আনন্দে ধান কেটে মাড়াই করছেন তারা।মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার মাঠ জুড়ে পাকা ধানের সোনালি রঙের সমারোহ দেখা গেছে। এছাড়া বাজারে দাম ভালো পাওয়ার আশা কৃষকের।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।এবারে আমন ধানের মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের আমন ধান চাষে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিশেষ করে বীজতলা থেকে ধান রোপণ ও পরিচর্যা সব মিলিয়ে মাঠে মাঠে কৃষকের সোনালী ধান এখন দর্শণীয় হয়ে উঠেছে।এদিকে, উপজেলার অনেক মাঠে ধান পাকতে শুরু করেছে। পাকা আমন ধান কাটতেও শুরু করেছেন কৃষকরা। তারপরও অধিকাংশ মাঠগুলোতে সোনালী ধানের শীষের সঙ্গে এখন দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। মাঠের পর মাঠ সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল হাজীপাড়া গ্রামের কৃষক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি এ বছর চার বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে যথাসময়ে ভালো পরিচর্যা করায় আমার জমিতে ধান ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যেই ধান কাটা শুরু করেছি, ফলনও ভালোই হচ্ছে।উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত গ্রামের কৃষক মো. আলম বলেন, ‘এবার ছয় বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ধান কাটা শুরু করেছি, ফলনও ভালোই হয়েছে। আশা করি বাজারে দামও ভালো পাবো।উপজেলার গোলমুন্ডা হাটের ধান ব্যবসায়ী মো. জাকির বলেন, ‘গত হাটে তেমন ধান আমদানি শুরু হয়নি। তবে টুকটাক বেচা-কেনা হয়েছে। আশা করছি দু-চার দিনের মধ্যে পুরোদমে ধান আমদানি শুরু হবে।কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার উপজেলার কোথাও পোকার আক্রমণ না থাকায় প্রতিটি ইউনিয়নে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ বলেন, ‘আমন চাষের শুরু থেকেই ভাল মানের বীজ, জমির উর্বরতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি এলাকাতে ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। ফলনও বাম্পার হচ্ছে। তারপরও যেসব জমির ধান ৮০ ভাগ পেঁকে গেছে ওইসব জমির ধান দ্রুত কেটে নিতে আমরা কৃষককে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছি।