- জবি প্রতিনিধি:বৈষম্যবৃদ্ধি ছাত্র আন্দোলনে পুরো দেশ যখন রক্তাক্ত। ঘাতকের বুলেটের আঘাতে শিক্ষার্থীরা পড়ে আছে রক্তাক্ত রাজপথে। বাতাসে লাশের গন্ধে মুখে রুমাল দিয়ে শিক্ষকদের ভিড় জমেছিল গণভবনে। ০৩ আগস্ট( শনিবার)রাতে গণভবনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক এবং কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড.সাদেকা হালিম,সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার-অধ্যাপক ড.আইনুল ইসলাম, পরিচালক (ছাত্র কল্যান) ড.জি এম.আলামিন আল আমিন, IT পরিচালক আমিনুল হক, সাবেক সহকারী প্রক্টর কে.এম.সুজাউদ্দিন,সাবেক প্রক্টর – অধ্যাপক ড.মোস্তফা কামাল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি – অধ্যাপক ড.জাকারি জাকির হোসেন,শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি নূরে আলম আব্দুল্লাহ
- ও সাবেক প্রক্টর -অধ্যাপক ড.নূর মোহাম্মদ সহ অনেকে।মতবিনিময় সভায় উপস্থিত শিক্ষকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষর্থীরা বলেন, আমরা এমন শিক্ষকদের চাই না যারা শিক্ষার্থীদের লাশের উপর দিয়ে, খুনিদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করে। তাদের ক্লাসে ফিরতে চাই না শিক্ষার্থীরা।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সহ সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘রক্তের উপর দিয়ে যারা আলোচনায় বসতে পারে তারা আমাদের অভিভাবক হতে পারে না, আমরা তাদের ক্লাসে ফিরতে চাই না। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের আইন-আনুক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাবো।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জবি’র ১৯-২০সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, যারা ফ্যাস্টিট সরকারের গোলামী করে পদোন্নতির আশায় ছাত্র-ছাত্রীদের যৌক্তিক আন্দোলনের বিরোধিতা করে তাদের ক্লাসে শিক্ষার্থীরা যাবে না।
২০-২১ সেশনের আরেক শিক্ষার্থী বলেন,’ আমরা দেখেছি ৩ আগস্ট পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছিল, এরপরও যেসকল শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদেরকে তাদের যৌক্তিক আন্দোলন বিমুখ করার উদ্দেশ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসতে গণভবনে গিয়েছিলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।’